সারা বাংলা

খুলনায় এনসিপির সমাবেশে ২০ হাজার লোক সমাগমের প্রস্তুতি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং মুখ্য সমন্বয়ক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে আগামী ১১ জুলাই খুলনায় জুলাই বিপ্লবীদের মিলনমেলা বসছে। ওইদিন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে খুলনা সফর করবেন। 

এনসিপির নেতারা এদিন জুলাই শহীদদের কবর জিয়ারত, শহীদ ও আহতদের পরিবারের খোঁজখবর নেয়া এবং সমাবেশে যোগ দেবেন।  

বুধবার (৯ জুলাই) খুলনা প্রেস ক্লাবে দলটির জেলা ও মহানগর শাখার পক্ষ থেকে আলাদা সংবাদ সম্মেলনে প্রোগ্রাম বাস্তবায়নের বিষয়ে তুলে ধরা হয়। সেখানে জানানো হয়, ১৫ থেকে ২০ হাজার লোক সমাবেশে যোগ দেবেন। খুলনার শিববাড়ি ও খালিশপুর পিপল চত্বরে এ কর্মসূচি পালিত হবে।

এনসিপির জেলা শাখার পক্ষ থেকে জানানো হয়, এনসিপির এই পদযাত্রা হবে শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক কর্মসূচি; যার মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছানো হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের অধিকার, ন্যায়বিচার ও সামাজিক সম্প্রীতির লক্ষ্যে এনসিপি এ পদযাত্রা করছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে নাহিদ ইসলাম, আখতার হোসেন, সামান্তা শারমিন, নাসির পাটোয়ারী, তাসনিম জারা, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম, তানজিল মাহমুদ, মেজবাহ কামাল মুন্না, ফরিদুল হক, সাকিব শাহরিয়ার ও ওয়াহিদুজ্জামানসহ নেতারা নতুন বাংলাদেশ গড়ার বার্তা নিয়ে জনগণের দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছেন। জনগণের আকাঙক্ষা, মতামত ও দাবি-দাওয়া নিয়ে গঠিত হবে এনসিপির আগামী দিনের রাজনীতি এবং নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা। ইতোমধ্যে খুলনা মহানগরীর সর্বোস্তরের সংগঠক এনসিপির এই জুলাই পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেছে।

এনসিপির খুলনা জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়ক মাহমুদুল হাসান (ফয়জুল্লাহ) বলেন, ‘‘ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের স্বৈরশাসনের পতনের বছরপূর্তির দ্বারপ্রান্তে আমরা। ফ্যাসিবাদী প্রথার বিলোপ, রাষ্ট্র সংস্কার ও নতুন বাংলাদেশ গঠনের প্রত্যয়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার দলকে পদচ্যুত করা হয়। সেই পরিবর্তনের বার্তা, রাষ্ট্র সংস্কার, জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন, গুম-খুন ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে গণঅভ্যুত্থানের অগ্রসৈনিকেরা জুলাই পদযাত্রা করছে। যার ধারাবাহিকতায় আগামী ১১ জুলাই কেন্দ্রীয় নেতারা খুলনাবাসীর সামনে উপস্থিত হবেন।’’

২৪ এর জুলাই-আগস্টে যে শিববাড়ি মোড় থেকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ সারা খুলনায় ছড়িয়ে পড়েছিল, সেই শিববাড়ি মোড়ে জুলাই বিপ্লবীদের পুনর্মিলনী হবে বলে জানান তিনি। 

নেতারা জানান, এই পদযাত্রা বিকাল ৫টায় শিববাড়ি মোড় থেকে শুরু হয়ে খালিশপুরের পিপলস মোড়ে গিয়ে সন্ধ্যা ৭টায় শেষ হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনসিপি খুলনায় পদযাত্রা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ডা. আব্দুল্লাহ চৌধুরী, জাতীয় যুব শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক সৈয়দ আবু ওয়াহিদ অনি, প্রচার ও প্রচারণা সেলের সদস্য সচিব এম সাইফুল ইসলাম, পদযাত্রা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য গোলাম মোর্তজা সাগর, রুমি রহমান, সানজিদা আক্তার আখি, গোলাম মোস্তফা সজিব মোল্লা, মহরম মাহিম, সামসুল আরেফিন লিওন, রেজওয়ান আহমেদ, খালিদ সাইফুল্লাহ ও জয় বৈদ্য।

এদিকে, দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে দলের মহানগর সংগঠকদের পক্ষ থেকে আয়োজিত অপর সংবাদ সম্মেলনে নগর সংগঠক আহম্মদ হামীম রাহাত বলেন, ১১ জুলাই এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা পরিবর্তনের নতুন বার্তা নিয়ে খুলনা শহরে আসছেন।

তিনি বলেন, ১১ জুলাই নাহিদ-হাসনাত আব্দুল্লাহরা খুলনার বাইতুন নূর জামে মসজিদের জুমার নামাজ আদায় করবেন। এরপর খুলনায় শহীদদের কবর জিয়ারত এবং শহিদ ও আহতদের পরিবারের খোঁজ খবর নেবেন। বিকেলে নগরীর পিটিআই মোড় থেকে পদযাত্রা শুরু হবে। সন্ধ্যা ৭টায় খালিশপুর পিপলস মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।