সারা বাংলা

ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত আছে। তবে, ভোগান্তি বেড়েছে পানিবন্দী মানুষের।

অনেকেই অভিযোগ করেছেন, বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখনো কোনো সহায়তা পাননি তারা।

এর আগে, মঙ্গলবার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৪ স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। রাত দেড়টা পর্যন্ত প্লাবিত হয় নতুন নতুন এলাকা।

বুধবার (৯ জুলাই) এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় পানিবন্দি কয়েকজনের সঙ্গে। তারই একজন মুন্সীরহাট গাইনবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আছমা আক্তার।

তিনি বলেন, ‘‘গত রাতে ঘরে পানি ঢুকেছে। কিছু জিনিস ওপরে তুলতে পারলেও বাকি সব তলিয়ে গেছে। আজ সারাদিন না খাওয়া। কিন্তু, এখনো কোনো সহায়তা পাইনি।’’

নাপিতকোনা গ্রামের জাহানারা বেগম বলেন, ‘‘গতকাল বাঁধ রক্ষায় স্থানীয়ভাবে চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু, লাভ হয়নি। বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় এক প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয়ে নিয়েছি। কিন্তু, খাবার-বিশুদ্ধ পানি নেই। বিদ্যুৎ-নেটওয়ার্ক না থাকায় কারো সঙ্গে যোগাযোগও করা যাচ্ছে না।’’

ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহরিয়া ইসলাম বলেন, ‘‘দুর্গত এলাকায় শুকনো খাবার, স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেট পাঠানো হয়েছে। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন, তাদের জন্য রান্না করা খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।’’

এ বিষয়ে জানতে পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে, বুধবার বৃষ্টিপাত কিছুটা কমেছে। এ কারণে পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘‘মুহুরি নদীর পানি এখনো বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। উজানে বৃষ্টি বন্ধ না হলে ভাঙনের ঝুঁকি থাকবে।’’

জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘‘ফুলগাজী ও পরশুরামে ৮০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। রান্না করা খাবারও সরবরাহ করা হচ্ছে।’’