সাতসতেরো

হুতি বিদ্রোহী সম্পর্কে এই তথ্যগুলো আগে জানতেন

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের উত্তাপ কমেছে। আলোচনায় এসেছে হুতি বিদ্রোহীরা। ১৯৯০ এর দশকে হুতিদের উত্থান। তাদের নেতা হুসেইন আল-হুতি। যিনি শিয়া ইসলামের জাইদি ধারার অনুসরণে ধর্মীয় পুনর্জাগরণমূলক আন্দোলন শুরু করেন। 

এই জাইদিরা কয়েক শতাব্দী ধরে ইয়েমেন শাসন করেছে।  কিন্তু ১৯৬২ সালে ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এরপর সুন্নিরা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। ফলে কোণঠাসা হয়ে পড়েন শিয়ারা। তারা সুন্নি তথা সৌদি আরবের পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া ওয়াহাবি মতবাদ মোকাবিলায় আল-হুতি জাইদি আন্দোলন গড়ে তোলেন। 

এই গোষ্ঠী ২০১৪ সালে রাজধানী সানা’র বিভিন্ন অংশ দখলে করে নেন। এরপর ২০১৫ সালের শুরুতে তারা রাষ্ট্রপতির বাসভবনও দখল করে নেন। ফলে হাদি সৌদি আরবে পালিয়ে যান। হাদির অনুরোধে ২০১৫ সালের মার্চে হুতিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে সৌদি আরব। সেই যুদ্ধ কয়েক বছর স্থায়ী হয়। অভিযানে সৌদি আরবকে সমর্থন দেয় পশ্চিমারা।

সামরিক জোট ইয়েমেনে হুতিদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিমান ও স্থল হামলা করে। তবে তারা শেষ পর্যন্ত ইরান-সমর্থিত হুতিদের পরাজিত করতে ব্যর্থ হয়।

সব শেষে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ২০২২ সালে এসে উভয়পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। যদিও ছয় মাসের মধ্যে সেই চুক্তি ভেঙে যায়। তারপরেও তারা আর আগের মতো যুদ্ধে জড়ায়নি। ইয়েমেন ও সৌদি আরব এখন শান্তি আলোচনায় রয়েছে।