ওয়ানডে সিরিজে ব্যাকফুটে থেকে ফিরে এসেছিল বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত সিরিজ বাঁচাতে পারেনি। টি-টোয়েন্টিতেও একই অবস্থা। প্রথম ম্যাচ বাজেভাবে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে রাজসিক প্রত্যাবর্তন। শেষটায় কী হবে? তা নিয়েই উৎকণ্ঠা।
ওয়ানডে সিরিজের পুনরাবৃত্তি নাকি শেষটা রাঙাবে বাংলাদেশ। যদি শেষ টি-টোয়েন্টি জিততে পারে এবং সিরিজও নিশ্চিত করে তাহলে এই সফরে বলার মতো কিছুটা একটা পাবে বাংলাদেশ। যদি ফলাফল উল্টোটা হয়, ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ হবে।
২০১৭ সালের পর এবার পূর্ণাঙ্গ সফরে দ্বীপরাষ্ট্র গিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু পুরো সফরে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স রোলার কোস্টারের মতো ঘুরপাক খেয়েছে। টেস্ট সিরিজ দিয়ে শুরু হয় সফর। গলে প্রথম টেস্টে পুরো পাঁচদিন খেলে ম্যাচ ড্র করে বাংলাদেশ। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্টও নিশ্চিত করে। একটু সাহস দেখালে ম্যাচটা জিততেও পারত। কিন্তু গল ছেড়ে কলম্বোতে যেতেই পারফরম্যান্সে ইউ টার্ন বাংলাদেশ দলের। চরম বাজেভাবে ম্যাচ হেরে সিরিজও হাতছাড়া করে বাংলাদেশ।
টেস্টের পর ওনায়ডে সিরিজেও একই দশা। বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজ শুরু করে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীতা ছাড়াই। মাত্র ৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হেরে যায় বাংলাদেশ। হারের সেই ক্ষত শুকিয়ে যায় দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দারুণভাবে ফিরে আসায়। কিন্তু শেষ ম্যাচে আবার হার। তাতে ২-১ ব্যবধানে হেরে যায় ওয়ানডে সিরিজ।
সবচেয়ে ছোট সংস্করণ টি-টোয়েন্টিতেও শুরুতেই হারের বৃত্তে আটকা বাংলাদেশ। টানা ছয় ম্যাচ হারকে সঙ্গী করে লিটন দাসের দল। পারফরম্যান্সের কোনো সুর, তাল, লয় কিছুই ছিল না। ২২ গজে অসহায় আত্মসমর্পণ করে ম্যাচ হেরেছে। ঠিক উল্টোচিত্র দ্বিতীয় ম্যাচে। ব্যাটিংয়ে দাপট। বোলিংয়ে রাজত্ব। দুইয়ে মিলিয়ে শ্রীলঙ্কাকে স্রেফ উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ।
সিরিজে এখন ১-১ সমতা। আগামীকাল কলম্বোতে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় শুরু শেষ ম্যাচ। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে খুব বেশি সিরিজ জিতেনি। সংখ্যাটি ১৫। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কখনো জেতা হয়নি। এবার সেই খাতা খোলার সূবর্ণ সুযোগ রয়েছে।
পিছিয়ে থেকে সিরিজ জয়ের রেকর্ড একটাই আছে বাংলাদেশের। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে জিতে। প্রথম ম্যাচ ৭ উইকেটে হারের পর আন্দ্রে রাসেল, রোভম্যান পাওয়েলদের থামিয়ে দেয় বাংলাদেশ। ম্যাচ জেতে ১২ ও ১৯ রানে। এবার কী শ্রীলঙ্কার পালা? উত্তরটা জানতে আগামীকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।