বিনোদন

নার্ভাসনেস দূর করতে নানা দুষ্টুমি করতেন : মিম

নন্দিত কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ। তার হাত ধরে অনেকে পেয়েছেন বড় পর্দায় পথচলার সুযোগ। এমনই একজন বিদ্যা সিনহা মিম।

মিমের সিনেমায় পথচলা শুরু হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত ‘আমার আছে জল’ সিনেমার মাধ্যমে। স্মৃতির পাতায় এখনও অমলিন সেইসব দিন।

মিম স্মৃতিচারণ করে রাইজিংবিডিকে বলেন, “স্যারের সঙ্গে আমার কাজের অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ! তিনি আমাকে মেয়ের মতো দেখতেন। তখন আমি অনেক ছোট ছিলাম। অভিনয়ও বিশেষ কিছু জানতাম না। খুব নার্ভাস লাগত। স্যার সেই নার্ভাসনেস দূর করতে নানা দুষ্টুমি করতেন। বলতেন, তোমার অভিনয় করতে হবে না, তুমি যেমন, ঠিক তেমনই থাকো।”

একটা ঘটনা আজও আবেগে ভাসায় উল্লেখ করে মিম বলেন, “একবার রাগ করে সারা রাত খাইনি। সকালবেলা স্যার জানতে পারলেন। আমাকে ডেকে পাঠালেন। প্রথমে যেতে চাইনি। তখন মাহফুজ আঙ্কেল বললেন— মা, চলো। গিয়ে দেখি স্যার বলছেন, খেয়ে নাও। আমি বললাম, খাব না। তিনি বললেন— তুমি না খেলে আমিও খাব না। এরপর আর না খেয়ে থাকতে পারিনি। এমন অসংখ্য স্মৃতি জমা আছে মনে।”

মিম বলেন, “স্যারের সঙ্গে যখন কাজ করি তখন স্কুলে পড়ি। অনেক কিছু বুঝতাম না। যখন বুঝতে শিখেছি, তখন আর কাজ করা হয়নি। যদি সুযোগ পেতাম, আরও অনেক কিছু শেখা যেত। আমার স্যারের সঙ্গে প্রথম দেখা ‘লাক্স’-এ। তখন আমরা ১০ জন মেয়ে ছিলাম। বলা হয়েছিল, বিজয়ী মেয়েই স্যারের সিনেমায় কাজ করার সুযোগ পাবে। স্যার আমাদের সঙ্গে দেখা করতে এলেন। সবার হাতে তুলে দিলেন ‘আমার আছে জল’ বইটি। আমি তখন ছিলাম ভীষণ এক্সাইটেড!”

হুমায়ূন আহমেদ জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে। পিতা ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা ফয়জুর রহমান আহমেদ, মাতা গৃহিণী আয়েশা ফয়েজ। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়। ২০১২ সালের আজকের এই দিনে নিউইয়র্কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন বাংলা সাহিত্যের এই মহান কারিগর।