মিরপুর শের-ই-বাংলার উইকেট নিয়ে অতিথি দলের সমালোচনা নতুন কোনো ঘটনা নয়। সেই দলে শামিল হলো পাকিস্তান।
রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলায় প্রথম টি-টোয়েন্টির উইকেট নিয়ে কড়া সমালোচনা করলেন পাকিস্তানের কোচ মাইক হেসন। নিজেদের ব্যাটিং নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও হেসন মিরপুরের ২২ গজের প্রসঙ্গকেও সামনে টানলেন।
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে পাকিস্তান ১৯.৩ ওভারে ১১০ রানে গুটিয়ে যায়। পুরো ২০ ওভার ব্যাটিং করতে পারেনি তারা। জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ ২৭ বল আগে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ৭ উইকেট হাতে রেখে।
দলের এমন পরাজয়কে হেসন নিজেদের ব্যর্থতা হিসেবেই দেখছেন। তবে যে ধরনের উইকেটে খেলা হয়েছে তা মোটেও মন গলাতে পারেননি বিশ্বের অন্যতম সেরা কোচকে। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে সেই রাগ ঝেরেছেন হেসন, ‘‘আমি মনে করি এটি কারও জন্যই আদর্শ নয়। দলগুলো এশিয়া কাপ বা (টি-টোয়েন্টি) বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার চেষ্টা করছে। এটি গ্রহণযোগ্য নয়। ব্যাটিং নিয়ে আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তার জন্য এটি এখনও কোনও অজুহাত নয়। কিন্তু এই পিচ আন্তর্জাতিক মানের নয়।’’
বাংলাদেশ এমন উইকেটেই খেলে অভ্যস্ত। এমন উইকেট প্রতিপক্ষকে নাড়িয়ে দেয়। ব্যাটসম্যানদের বিভ্রান্তে ফেলে। বোলারদের মনোবল শক্ত করে। কিন্তু এই ধরনের উইকেটে খেলে বাংলাদেশের উন্নতি হবে না তা-ও জানাতে ভুল করেননি হেসন, ‘‘আমি মনে করি না যখন তারা বাংলাদেশের বাইরে যাবে তখন এটি তাদের সাহায্য করবে। তবে আমার মনে হয় এই পরিস্থিতিতে প্রথমে ব্যাট করাও চ্যালেঞ্জিং। যখন আপনি নিশ্চিত নন যে, ১০০, ১৩০, নাকি ১৫০ যথেষ্ট ভালো। আমি মনে করি না (পিচ) কারো জন্যই ভালো।’’
ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের শুরুটা খারাপ ছিল না। বিশেষ করে ফখর জামান যেভাবে ব্যাটিং করছিলেন তখন তাতে বড় কিছুই আশা করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু তার ব্যাটিং ‘ফলস ইন্ডিকেশন’ দিয়েছে উইকেট নিয়ে। হেসনের ভাষ্য, ‘‘আমরা ভালো শুরু পেয়েছিলাম। ফখর জামান চার-পাঁচটি শট খেলেছেন। এতে আমরা ফলস ইন্ডিকেশন পেয়েছি। যখন বলটি নিপ করতে শুরু করে এবং তীব্রভাবে বাউন্স করে, তখন আমরা সম্ভবত বুঝতে পারিনি যে উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলা একটু বেশি চ্যালেঞ্জিং। কয়েকটি রান আউটও সাহায্য করেনি।’’
বাংলাদেশের জন্য মন খুলে পরামর্শ দিতে রাজি নন হেসন। তবে মানসম্মত উইকেটের দাবি তুলে গেলেন তিনি, ‘‘আমি এখানে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে আসিনি। ক্রিকেটারদের গড়ে তোলার জন্য ভালো ক্রিকেট উইকেটের প্রয়োজন। সত্যি বলতে, বিপিএলের সময় কিছু ভালো উইকেট ছিল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সময় এটি মানসম্মত নয়।”