ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বিশ্ব বাজারে প্রভাব বিস্তার করেছে। বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিজেদের জৌলুস ধরে রাখতে না পারলেও দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি একতরফা রাজত্ব করছে। তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম, কন্নড়ের মতো আঞ্চলিক ইন্ডাস্ট্রি থেকে নির্মিত হচ্ছে নতুন নতুন সিনেমা। দর্শক ভিন্ন ভিন্ন ভাষা, সংস্কৃতির গল্প দেখতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
চলতি বছরে ভারতীয় অনেক সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। মুক্তিপ্রাপ্ত এসব সিনেমার বড় একটি অংশ মুখ থুবড়ে পড়েছে। বিশেষ করে বলিউডের সিনেমাগুলো। তুলনামূলকভাবে দক্ষিণী সিনেমাগুলো চমক দেখাচ্ছে। বিশেষ করে তামিল ভাষার ‘টুরিস্ট ফ্যামিলি’ বাজেটের ১২ শ শতাংশের বেশি আয় করে বিস্ময় জাগিয়েছে।
কমেডি-ড্রামা ঘরানার ‘টুরিস্ট ফ্যামেলি’ সিনেমা নির্মাণ করেছেন অভিশান জীবেন্ত। করোনা সংকটের সময়ে শ্রীলঙ্কার একটি পরিবার ভারতের তামিল নাড়ুতে আসেন। এ পরিস্থিতিতে নানা সংকট মোকাবিলা করে পরিবারটি। নতুন জায়গায়, নতুন পরিবেশে নিজেদের খাপ খাইয়ে নেওয়ার সংগ্রামের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন—এম. শশীকুমার, যোগী বাবু, সিমরান, রমেশ প্রমুখ।
‘টুরিস্ট ফ্যামিলি’ সিনেমার তেমন কোনো প্রচার ছিল না। সিনেমাটিতে নেই কোনো তারকা অভিনয়শিল্পীও। কিন্তু সিনেমাটির গল্প মানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহে সিনেমাটি আয় করে ২৩ কোটি রুপি। দ্বিতীয় সপ্তাহে ২৯ কোটি রুপি। পাঁচ সপ্তাহে শুধু ভারতে আয় করে ৬২ কোটি রুপি আর বিদেশে আয় করে ২৮ কোটি রুপি। সিনেমাটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ৯০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা)।
সিনেমাটির বাজেট ৭ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা)। এ হিসাব অনুযায়ী, ১২৮৫ শতাংশ আয় করেছে ‘টুরিস্ট ফ্যামেলি’।
চলতি বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত বড় বড় বাজেটের ভারতীয় সিনেমাকে টেক্কা দিয়েছে ‘টুরিস্ট ফ্যামেলি’। ‘ছাবা’ সিনেমা নির্মাণে ব্যয় হয় ৯০ কোটি রুপি, বক্স অফিসে আয় করে ৮০০ কোটি রুপি। এ তুলনায় ‘টুরিস্ট ফ্যামেলি’ কম অর্থ আয় করেছে। কিন্তু নির্মাণ ব্যয় খুবই কম। অক্ষয় কুমারের ‘হাউজফুল ফাইভ’ নির্মাণে ব্যয় ২২৫ কোটি রুপি, বক্স অফিসে আয় করে ২৩৭ কোটি রুপি। সালমান খানের ‘সিকান্দার’ সিনেমা নির্মাণে ব্যয় ২০০ কোটি রুপি, আয় করে ১৭৮ কোটি রুপি।
তথ্যসূত্র: সিয়াসাত ডটকম