কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “কৃষি খাতে রাজনৈতিক প্রভাব বন্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। এখন থেকে রাজনৈতিক বিবেচনায় আর কাউকে সারের ডিলারশিপ বা লাইসেন্স দেওয়া হবে না।”
সোমবার (২১ জুলাই) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, “সারের লাইসেন্স প্রদান হবে একমাত্র যোগ্যতার ভিত্তিতে। যারা কৃষি খাতে দুর্নীতি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সার ক্রয় ও বিতরণের প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।”
তিনি বলেন, “গত মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫ লাখ মেট্রিক টন অতিরিক্ত ধান উৎপাদিত হয়েছে। ফলে দেশে খাদ্য সংকটের কোনো সম্ভাবনা নেই। পাশাপাশি শাক-সবজি সংরক্ষণের জন্য ১০০টি মিনি কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন করা হয়েছে এবং পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য আধুনিক স্টোরেজ ও এয়ার ফ্লো মেশিন কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে।”
তিনি আরো বলেন, “চলতি বছর দেশে শাকসবজি, পেঁয়াজ ও আলুর উৎপাদন ভালো হয়েছে। তবে আলুর অতিরিক্ত উৎপাদনে দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা। এজন্য ওএমএস কার্যক্রমে আলু অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।”
বন্যার ক্ষতি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, “সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই বন্যায় দেশের পাঁচটি জেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সারের মূল্য পরিশোধ করতে সরকারকে হিমশিম খেতে হয়েছে। তবে আমরা সেই সংকট কাটিয়ে উঠেছি। বর্তমানে আগামী নভেম্বর পর্যন্ত সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে।”
সাশ্রয়ী মূল্যে সার আমদানির বিষয়ে উপদেষ্টা আরো বলেন, “সম্প্রতি মালয়েশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে এবং আপাতত দেশে সারের কোনো ঘাটতি নেই। কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কক্সবাজার, নোয়াখালী ও ফেনীসহ বিভিন্ন জেলায় শাক-সবজির বীজ বিতরণ করা হচ্ছে। সরকার এরইমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। গত অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রায় ৩৩ লাখ বিভিন্ন জাতের গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।”
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।