চতুর্থ টেস্টের প্রথম দিন শেষেও ম্যাচে পাল্লা ভারী হয়নি কোনো দিকেই। তবে ব্যাটে-বলের লড়াইয়ের মাঝে ভারতীয় শিবিরে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্তের নতুন চোট। দিন শেষে স্কোরবোর্ডে ৪ উইকেটে ২৬৪ রান জমা পড়লেও পন্তের ইনজুরি ভারতকে যেন অনেক বেশি চাপে ফেলে দিয়েছে।
ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে শুরুটা ছিল যথেষ্ট প্রতিশ্রুতিশীল। ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল ও লোকেশ রাহুল ইংল্যান্ডের মেঘলা কন্ডিশনে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দিনের প্রথম সেশনে একটিও উইকেট হারাননি। লাঞ্চ পর্যন্ত ৭৮ রানে ছিল ভারতের সংগ্রহ। তবে বিরতির পর রাহুল (৪৬) অফ স্টাম্পের বাইরের বল ছুঁয়ে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। কিছুক্ষণ পরেই বিতর্কিত এলবিডব্লিউ সিদ্ধান্তে বিদায় নেন শুভমন গিল (১২), বেন স্টোকসের বলে।
অন্যদিকে, যশস্বী জয়সওয়াল (৫৮) আগের মতোই সংযমী ছিলেন। কিন্তু লিয়াম ডসনের ফিরতি টেস্টে দুর্দান্ত একটি ডেলিভারিতে তিনি বোল্ড হন। সাই সুদর্শনও প্রথমবারের মতো টেস্টে হাফসেঞ্চুরি (৬১) তুলে নেন। তবে রানের গতি বাড়াতে গিয়ে স্টোকসকে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন বাউন্ডারি লাইনের কাছে।
এরপরেই ভারতীয় ইনিংসের সবচেয়ে উদ্বেগজনক অধ্যায়ের সৃষ্টি হয়, পন্তের চোট। ৭৮তম ওভারে ক্রিস ওকসের ইয়র্কার রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বল গিয়ে লাগে তার ডান পায়ে। ব্যথা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে সঙ্গে সঙ্গেই ফিজিওকে ডেকে নিতে হয়। ব্যথা নিয়েও কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন পন্ত, তবে শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। মাঠ ছাড়ার সময় দেখা যায় তার পা ফুলে গেছে এবং আঘাত গুরুতর।
বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর ইনিংসের হাল ধরেন অলরাউন্ডাররা। দিনের শেষে অপরাজিত থাকেন রবীন্দ্র জাডেজা (১৯) ও শার্দুল ঠাকুর (১৯)।
বোলিংয়ে ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে সফল বেন স্টোকস, নিয়েছেন ২ উইকেট মাত্র ৪৭ রানে। এছাড়া ১টি করে উইকেট নিয়েছেন ওকস (৪৩ রানে) ও লিয়াম ডসন (৪৫ রানে), যিনি ৮ বছর পর টেস্টে ফিরে ভালভাবেই নিজের অবস্থান জানান দিয়েছেন।