খেলাধুলা

ডাকেট-ক্রাউলির তাণ্ডবে ছায়ার মতো পিছিয়ে ভারত

ম্যানচেস্টারের চতুর্থ টেস্টে দ্বিতীয় দিনটা একেবারেই ইংল্যান্ডের নামে লিখে ফেলা যায়। বল হাতে শুরুটা করেছিলেন স্টোকস, শেষটাও তিনিই করেছেন। আর তারপর ব্যাটে এসে ইংলিশ ওপেনাররা ম্যাচে চালকের আসনে বসে পড়েছেন।

দিনের শুরুতে ভারত ব্যাটিংয়ে ছিল। যদিও লাঞ্চের পরে যেন দিকভ্রান্ত দল হয়ে পড়ে তারা। জোফরা আর্চারের ধারালো স্পেল প্রথমে চাপে ফেলে। তারপর অধিনায়ক বেন স্টোকস যেন তলোয়ার চালালেন। এক ওভারেই ফিরিয়ে দেন ওয়াশিংটন সুন্দর ও অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা অংশুল কম্বোজকে। স্টোকসের উইকেট সংখ্যা দাঁড়ায় পাঁচে। আর ভারতের রান আটকে যায় ৩৫৮–এ। ঋভষ পন্ত একপ্রান্তে লড়াই চালিয়ে হাফসেঞ্চুরি করলেও শেষরক্ষা হয়নি।

এরপর শুরু হয় ইংল্যান্ডের আগ্রাসী জবাব। ব্যাটিংয়ে নামে জ্যাক ক্রাউলি ও বেন ডাকেট—দুজনেই যেন মাঠে নামেন প্রতিপক্ষকে বার্তা দিতে। শুরুতে কয়েকটা বল মিস করলেও তারা দ্রুত খাপ খাইয়ে নিয়ে কাঁপিয়ে তোলেন ভারতীয় বোলিং লাইনআপ। ডাকেট ছিলেন আরও আক্রমণাত্মক, প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভারতীয় বোলারদের চাপে ফেলতে শুরু করেন। অন্যদিকে ক্রাউলি ম্যাচ পড়ার মুন্সিয়ানা দেখিয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন।

জাসপ্রিত বুমরাকে শুরুতেই নিষ্প্রভ দেখা গেছে। নতুন বল হাতে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেননি। অংশুল কম্বোজের ক্ষেত্রেও একই চিত্র। নতুন বলে ছিল না ধার। ১১তম ওভারেই ইংল্যান্ড স্কোরবোর্ডে ৫০ রান তুলে নেয়, কোনো উইকেট না হারিয়ে।

শেষ পর্যন্ত ৫.৫০ রান রেটে ৭৭ রান তুলে ফেলেন তারা। ডাকেট ৪৩ রানে এবং ক্রাউলি ৩৩ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন দিনের খেলা শেষে।

বিরতির পর এসেও তাণ্ডব চালাতে থাকেন তারা। দুজনেই তুলে নেন ফিফটি। এগিয়ে যেতে থাকেন সেঞ্চুরির দিকে। ১৬৬ রানের মাথায় রবীন্দ্র জাদেজা ক্রাউলিকে ফিরিয়ে ভাঙেন এই জুটি। ক্রাউলি ১৩টি চার ও ১ ছক্কায় ৮৪ রান করে যান। ডাকেট অবশ্য সেঞ্চুরির খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন। ১৩ চারে ৯৪ রানে যখন তিনি অবস্থান করছিলেন তখন তার উইকেটটি নেন অভিষিক্ত কম্বোজ। ইংল্যান্ডের দলীয় রান তখন ১৯৭।

এরপর অলি পোপ ও জো রুট মিলে দিন শেষ করে আসেন। ৪৬ ওভারে ২ উইকেটে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ২২৫। ভারতের চেয়ে এখনো তারা পিছিয়ে ১৩৩ রানে। পোপ ২০ ও রুট ১১ রানে অপরাজিত আছেন। তারা দুজন আজ শুক্রবার বিকেলে তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নামবেন।