পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলেও তাদেরকে হোয়াইটওয়াশ করা হয়নি বাংলাদেশের। তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে শেষ হয়। শেষ ম্যাচে নিয়মিত একাদশের ৫ ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দেয় দল। বেঞ্চ পরীক্ষার সুযোগটি হাতছাড়া করতে চায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু বড় ধরনের পরিবর্তন এনে হারের তিক্ত স্বাদ পায় স্বাগতিকরা।
বেঞ্চ পরীক্ষার বিষয়টিকে সামনে এনে অধিনায়ক লিটন বলেছিলেন, ‘‘আমাদের যে ১৬ জনের স্কোয়াড, সবার সামর্থ্য আছে ম্যাচ খেলার। যাদেরকে খেলানো হয়েছে, সবাই ভালো পারফর্মার। কিছু কিছু ব্যাপার ভবিষ্যতের জন্য চিন্তা করতে হবে। সেজন্যই আজকে সবাইকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।’’
তবে লিটনের এই কথার সঙ্গে একমত নন জাতীয় দলের সাবেক নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। মিনহাজুল এখন বিসিবির প্রধান প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী হিসেবে যুক্ত আছে। তার অধীনে চলছে বিসিবির ম্যাচ রেফারিজ ট্রেনিং প্রোগ্রাম। প্রোগ্রাম শেষে বেরিয়ে গণমাধ্যমে মিনহাজুল আবেদীন বলেছেন, ‘‘অনেকগুলো খেলোয়াড়কেও শেষ ম্যাচে দেখা হয়েছে। আমার মনে হয় ওই জায়গায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে...কারণ পাকিস্তানের সাথে একটা সুযোগ ছিল, ভালো সিরিজ শেষ করা। ওই জায়গায় সুযোগ ছিল, ওই পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করলেও হতো।’’
শেষ ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয় দারুণ ফর্মে থাকা পারভেজ হোসেন ইমনকে। অসুস্থ ছিলেন তাওহীদ হৃদয়। চমৎকার বোলিং করা মোস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেনও ছিলেন বিশ্রামে। তানজিম হাসান সাকিবকেও সরে যেতে হয়েছে। তাদের জায়গায় ম্যাচ খেলেছেন নাসুম আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ। একাদশে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম। এদের মধ্যে নাসুম ছাড়া সবাই ব্যর্থ। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়কে মোটেও ছোট করছেন না তিনি, ‘‘অবশ্যই একটা ভালো অর্জন। যেকোনো সিরিজ জেতা সামনের সিরিজে ভালো খেলার জন্য দলকে যথেষ্ট সাহস দেবে। আমি বলবো যেহেতু সামনে আর বেশি সময় নেই বিশ্বকাপের, সামনে এশিয়া কাপ আছে—সেই জায়গায় আমার মনে হয় পুরো ২০ জনের একটা পুল করে এগোনো উচিত এবং সম্ভাব্য সেরা খেলোয়াড়দের বেশিরভাগ ম্যাচগুলোতে সুযোগ দেয়া উচিত।’’
ভারত বাংলাদেশ সফর পিছিয়ে দেওয়ায় এশিয়া কাপের আগে লম্বা সময় পেয়েছে বাংলাদেশ। আগস্টে বাংলাদেশ তিন সপ্তাহের ক্যাম্প করবে। বিসিবির পরিকল্পনা করছে এ সময়ে দ্বিপক্ষীয় কোনো সিরিজ আয়োজন করা যায় কিনা। তবে খেলোয়াড়দের চাঙা রাখতে টানা খেলার ভেতরে থাকায় বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিলেন মিনহাজুল, ‘‘দেখুন— টানা অনেকগুলো সিরিজ খেলেছে খেলোয়াড়রা। এখানে কিন্তু ওদেরও মানসিকভাবে চাঙা হওয়া একটা দরকার আছে। সেই জায়গায় কিন্তু খুব জোর করে চাপিয়ে দেয়া, খেলানো—এটার পক্ষে নই। আমি ব্যক্তিগতভাবে অনুভব করি খেলোয়াড়দেরও একটু চাঙা হওয়ার দরকার আছে। এই জায়গা থেকে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে যদি ছোট একটা সিরিজ খেলে এশিয়া কাপে যায়, এটা অবশ্যই লাভবান হবে। এখন যে সময়টা আছে তাতে খেলোয়াড়রা একটু চাঙা হওয়ার সুযোগ পাবে। চাঙা হয়ে আবার যাতে শুরু করতে পারে। তাহলে এটা তাদের জন্য ভালো হবে।’’