খুলনার ফুলতলা উপজেলায় সড়কের পাশের ঝোপ থেকে উদ্ধার করা সেই নবজাতককে দত্তক নিতে আবেদন করেছে অর্ধশত দম্পতি। মা-বাবার আদরে তারা কন্যা শিশুটিকে লালন-পালন করবেন বলে আবেদনে উল্লেখ করেছেন। আবেদনকারীদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে আগামী ৩ আগস্ট এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুটি জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছে। আপাতত তাকে হাসপাতালে রেখেই চিকিৎসাসেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা।
খুলনা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রবেশন কর্মকর্তা ও ফুলতলা উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবিদা আফরিন জানিয়েছেন, আবেদনকারীদের আগ্রহ এবং সামর্থ্য যাচাই-বাছাই করতে তাদের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খুলনা জেলা শিশুকল্যাণ বোর্ড। মঙ্গলবার এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যাচাই শেষে আগামী ৩ আগস্ট বোর্ডের সভায় ওই শিশুকে দত্তক দেওয়ার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
হাসপাতালের নবজাতক বিভাগের প্রধান ডা. ফররুখ আহাম্মদ জানিয়েছেন, শিশুটি হঠাৎ বমি করেছে। তার শরীরে জন্ডিসের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে হাসপাতালে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হবে।
ফুলতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জেল্লাল হোসেন জানিয়েছেন, ওই নবজাতককে উদ্ধারের পর আশপাশের এলাকায় খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। তার প্রকৃত বাবা-মায়ের বিষয়ে এখনো তথ্য পাওয়া যায়নি। কেউ পরিচয় দাবি করে যোগাযোগও করেননি।
গত রবিবার খুলনার ফুলতলা উপজেলায় সড়কের পাশের একটি ঝোপ থেকে ওই নবজাতক শিশুকে উদ্ধার করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের হাত ঘুরে তার আশ্রয় হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ফেসবুকে তার ফুটফুটে ছবি ছড়িয়ে পড়লে তাকে দত্তক নেওয়ার জন্য হাসপাতালে ভিড় করেন অসংখ্য মানুষ।