ব্রাজিলের ওপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি এ নিয়ে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি। কার্যকর আলোচনা না হওয়ায় স্থানীয় সময় বুধবার নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) হোয়াইট হাউজের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, ব্রাজিল সরকার গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, যা দেশটির আইনের শাসনকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
চলতি মাসের শুরুতে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভাকে ট্রাম্প যে চিঠি পাঠিয়েছিলেন সেখানে উল্লেখ ছিল, বর্তমান সরকার যদি দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও ডানপন্থী নেতা জইর বলসোনারোর বিরুদ্ধে চলমান বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ না করে তাহলে এই উচ্চ শুল্ক আরোপ করা হবে।
ব্রাজিলের গণমাধ্যম দ্য রিও টাইমস বলছে, ব্রাজিলের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও বাণিজ্য নীতি মার্কিন স্বার্থের বিরুদ্ধে যাওয়ার উদ্বেগ থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্পের মিত্র হিসেবে পরিচিত ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো। বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুলার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের চেষ্টার অভিযোগে তার বিচার চলছে। ট্রাম্প প্রকাশ্যে এই বিচার প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করেছেন। শুল্ক সংক্রান্ত আদেশে উল্লেখ করেছেন, বলসোনারোর বিচার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
বুধবার মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা বিধিবহির্ভূত ‘বিচারের আগেই আটকের’ অনুমোদন এবং ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা’ দমন করার অভিযোগে ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক আলেকজান্দ্রে দে মোরেসের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবেন।
বিচারক মোরেস ব্রাজিলের সাবেক ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ২০২২ সালের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর বলসোনারো ও তার সহযোগীরা অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র করেছিলেন অভিযোগে এই তদন্ত চলছে।
বলসোনারো এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বিচারক মোরেসকে ‘স্বৈরাচারী’ বলে অভিহিত করেছেন। মোরেসের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পরপরই ব্রাজিলের ওপর শুল্ক ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর আদেশে সই করেন ট্রাম্প।
চীনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ব্রাজিলের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার, তাই এই শুল্ক বৃদ্ধি দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।