এশিয়া কাপে ‘মুখস্থ’ গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) বাণিজ্যিক লাভবানের আশায় ভারত ও পাকিস্তানকে একই গ্রুপে রেখে আসছে গত কয়েক বছর। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। ভারত ও পাকিস্তান এক গ্রুপে থাকায় বাকি তিনটি পূর্ণ সদস্য দল অপরগ্রুপে রাখতেই হচ্ছে। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান একই গ্রুপে। চতুর্থ দল হিসেবে গ্রুপে আছে হংকং।
গত আসরে বাংলাদেশ গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে সুপার ফোরে খেলেছে। এর আগের আসরে বাদ পড়েছিল গ্রুপ পর্ব থেকে। এবার কেমন করবে বাংলাদেশ? জানতে চাওয়া হয়েছিল জাতীয় দলের পেসার খালেদ আহমেদের কাছে। উত্তরে ডানহাতি পেসার জানালেন, তার বিশ্বাস, দল ফাইনাল খেলতে পারবে।
মিরপুর শের–ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খালেদ বলেছেন, ‘‘আমরা এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলার মতো একটি দল। আমরা যে গ্রুপে আছি সেখান থেকে দুই-তিনটি ম্যাচ জিততে পারলেই আমরা ফাইনালে যেতে পারব।’’
তৃতীয়বারের মতো এশিয়া কাপ হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। এর আগে ২০১৬ এবং ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হয়েছিল টুর্নামেন্টটি। প্রথম আসরে ভারত এবং দ্বিতীয় আসরে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ছয় দলের প্রতিযোগিতায় সবশেষ আসরে (টি-টোয়েন্টি) বাংলাদেশ সুপার ফোরেও উঠতে পারেনি। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসেছিল সেই আসর। প্রথম আসরে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ রানার্সআপ হয়েছিল। এবার বাংলাদেশ কেমন করে সেটাই দেখার।
তবে আত্মবিশ্বাস ভালো থাকার কথা লিটন দাসদের। শ্রীলঙ্কাকে তাদের মাটিতে ২-১ ব্যবধানে এবং পাকিস্তানকে ঘরের মাঠে একই ব্যবধানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। ছন্দে থাকা একটি দল এবার মহাদেশীয় প্রতিযোগিতায় কেমন করে সেটাই দেখার।
১১ সেপ্টেম্বর হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আসর শুরু করবে বাংলাদেশ। ১৩ সেপ্টেম্বর পরের ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। আর গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ লড়বে ১৬ সেপ্টেম্বর। আগস্টে জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হবে। ভারত সিরিজ পিছিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ লম্বা ছুটি পেয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। যদিও বিসিবি চেষ্টা করছে নেপাল, নেদারল্যান্ডসকে আমন্ত্রণ জানিয়ে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ কিংবা ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজনের।