বিনোদন

ইধিকা পালের ডাবিং করে পারিশ্রমিক মেলেনি, ‘বরবাদ’ নিয়ে ক্ষুব্ধ দোয়েল

শাকিব খান, ইধিকা পাল অভিনীত ঈদের আলোচিত সিনেমা ‘বরবাদ’ ঘিরে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। এবার নির্মাতা মেহেদী হাসান হৃদয়ের বিরুদ্ধে পারিশ্রমিক না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন অভিনেত্রী দিলরুবা দোয়েল।

দোয়েল জানিয়েছেন, তিনি মূলত সিনেমাটির নায়িকা ইধিকা পালের কিছু অংশের ডাবিংয়ে অংশ নেন। কিন্তু কাজ শেষ করেও তিনি পারিশ্রমিক পাননি।

‘না করলে সেন্সর হবে না’ এ কথা বলে ডেকে নেন, কিন্তু টাকা দেননি পরিচালক- অভিযোগ দোয়েলের। দোয়েল বলেন, “হৃদয় ভাই তার সহকারীকে দিয়ে আমাকে ফোন করান। বলেন, ইমার্জেন্সি ডাবিং করতে হবে, না হলে সেন্সর বোর্ডে পাঠানো যাবে না। আমি বলি, স্পট পেমেন্ট করতে হবে। কিন্তু কাজ করেও কোনো টাকা পাইনি।”

দোয়েল আরও অভিযোগ করে বলেন, “এরপর কয়েকবার ফোন করেছি, কিন্তু পরিচালক ফোন ধরেননি। আমার জন্য এটা টাকার বিষয় নয়, সম্মানের প্রশ্ন। কোটি টাকা খরচ করে বড় ছবি বানিয়ে, দেশে শিল্পীদের মূল্য না দেওয়াটা খুবই দুঃখজনক।”

দোয়েলের ভাষায়, “হৃদয় ভাইয়ের সহকারীদের আচরণ দেখে মনে হয়েছে ওরা হলিউড থেকে এসেছে। রাত ১২টায় ফোন করে কাজ করাতে পারবে, কিন্তু টাকা দিতে পারবে না—এটা কোনো কাজের নীতি হতে পারে না।”

অন্যদিকে নির্মাতা মেহেদী হাসান হৃদয় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি জানতাম না কোনো শিল্পীর পেমেন্ট বাকি রয়েছে। হয়তো অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসায় ধরিনি। উনার নাম্বারও আমার কাছে নেই। যদি টেক্সট করতেন, কথা হতো।”

তিনি আরও জানান, “ওই শিল্পীর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগতভাবে এ নিয়ে কোনো কথা হয়নি। সিনেমার শুটিংয়ে বাংলাদেশ থেকে শুধু আজাদ ভাই ছিলেন, বাকিরা সবাই ভারতীয় এডি টিমের সদস্য।”

দোয়েলের বক্তব্যে প্রশ্ন উঠেছে: শিল্পী যদি সিনেমার মূল নায়িকা না হন, তবে কি তার পরিশ্রমের মূল্য নেই? এই প্রশ্ন এখন সোশ্যাল মিডিয়াতেও আলোচনায়। দেশে কোটি টাকা খরচ করে বিদেশি শিল্পী ও কলাকুশলীদের আনায় কোনো আপত্তি নেই, কিন্তু স্থানীয় শিল্পীদের প্রতি এমন অবহেলা প্রমাণ করে গ্ল্যামার ড্রেসের পেছনে লুকিয়ে থাকে দায়হীনতা।