খেলাধুলা

পুলের ক্রিকেটার নিয়ে সারা বছর বাংলা টাইগার্স ক্যাম্প

জাতীয় টেস্ট দলের নিয়মিত ওপেনার সাদমান ইসলাম। অন্য কোনো ফরম্যাটে তাকে এখন পর্যন্ত বিবেচনা করেননি নির্বাচকরা। সামনেও করবেন কিনা তা সময় বলে দেবে।

জাতীয় দল টেস্ট খেলবে আগামী নভেম্বরে। এতটা সময় সাদমান কী চোখের আড়াল হয়ে থাকবেন? মুশফিকুর রহিম টেস্ট বাদে অন্য দুই ফরম্যাট খেলা ছেড়েছেন। তার-ই বা কী হবে? মুমিনুল হক, খালেদ আহমেদ কিংবা পরিবর্তিত বাস্তবতায় ইবাদত হোসেনেরই বা কী হবে? তাদের সব সমস্যার সমাধান করে দিচ্ছে বাংলা টাইগার্স ক্যাম্প।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সারা বছর ক্রিকেটারদের অনুশীলনের ব্যবস্থা করে দিতে চালু রাখবে বাংলা টাইগার্স ক্যাম্প। এই ক্যাম্পের প্রধানের দায়িত্ব পাওয়া সোহেল ইসলাম রোববার মিরপুরে এ খবর নিশ্চিত করেছেন। মূলত জাতীয় পুলভুক্ত সব ক্রিকেটারকে নিয়ে চলবে এই ক্যাম্প। যখন যাকে প্রয়োজন হবে, যার প্রয়োজন হবে, ইনডোর-আউটডোর কিংবা টেকনিক্যাল-মেন্টালি সব ধরণের কাজ হবে বাংলা টাইগার্সের সারা বছরের প্রোগ্রামে।

নিজেদের কাজ নিয়ে সোহেল ইসলাম পরিষ্কার ধারণা দিয়েছেন, ‘‘জাতীয় পুলভুক্ত ক্রিকেটার যারা আছেন তাদের নিয়ে বাংলা টাইগার্স সারা বছর কাজ করবে। টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে কিংবা টেস্টের জন্য আলাদা আলাদা করে অনুশীলন করা হয়। কখনো বড় গ্রুপে, কখনো ছোট গ্রুপে আবার কখনো ওয়ান টু ওয়ান কাজ করবেন ক্রিকেটাররা। সারা বছর তারা যেন প্রস্তুতি নিতে পারে এবং সব সময় প্রস্তুত থাকে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।’’

‘‘এই অনুশীলনগুলো খুব স্পেসিফিক এবং ইনডিভিজুয়াল হয়। কার কোথায় ঘাটতি আছে। যদি সাদমানের ডিফেন্স ভালো থাকে তাহলে তো তার অনেকটা সময় ডিফেন্সে অনুশীলন করার দরকার নেই। বিশেষ এরিয়াগুলো নিয়ে কাজ করার কথা বলা হয়েছে। যেসব এরিয়াতে উন্নতি দরকার, স্কিলের মডিফাই করার দরকার আছে, অ্যাডজাস্টমেন্টের দরকার আছে সেসব জায়গায় কাজ করছি। এখন আমরা ইনডোরে করছি। এরপর যত কাছাকাছি ম্যাচের মধ্যে ঢুকবো তখন অনুশীলন পাল্টে যাবে।’’

সামনে ‘এ’ দল যাবে অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলবে। এরপর চারদিনের একটি ম্যাচ খেলবে। সোহেল যোগ করেন, ‘‘এখন দুটি ভাগে ভাগ হয়ে কাজ হচ্ছে। যারা অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি খেলতে যাবে তাদের আলাদাভাবে কাজ হচ্ছে। যারা একটি চারদিনের ম্যাচ খেলতে যাবে তাদের অনুশীলন চলবে মিরপুরে। মুশফিকুর রহিম, খালেদ আহমেদ, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হকরা এই অনুশীলনে থাকবেন। তবে এমন না যে তাদেরকেই ‘এ’ দলের সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া পাঠাবে বিসিবি। নভেম্বরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে যে দুটি টেস্ট ম্যাচ আছে সেগুলোর জন্যও প্রস্তুতি নেবেন ক্রিকেটাররা।’’

ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনায় নতুন বলে অনুশীলন, পুরোনো বলে পরীক্ষা নেওয়ার কাজগুলো করা হবে। ছকে কাটা থাকবে প্রতিটি কাজ। নির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করা হয় ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট। মোদ্দাকথা, ক্রিকেটারদের অনুশীলন এবং কোচদের কাজ থাকবে লক্ষ্যে পৌঁছানো, ‘‘যখন কেউ অনুশীলনে আসে সেটা ব্যাটসম্যান হোক বা বোলার আমরা তাকে তার লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করি। সেটা টেকনিক্যাল হতে পারে। আবার মেন্টালও হতে পারে। আমরা যদি মনে করি ওটা টাচ করার দরকার আছে তাহলে করবো। আবার ট্যাকটিকসের যদি কোনো প্রয়োজন থাকে যেটা আমরা ব্লকে করতে পারি। এই জিনিসগুলো মাথায় থাকে এবং সেভাবেই করা হয়। অনুশীলন করলাম, ঘাম ঝরালাম যদি কোনো পারপাস না থাকে তাহলে উন্নতিও বোঝা যাবে না। আমরা এগুলো মাথায় নিয়েই কাজ করছি। নতুন বল, পুরোনো বল—এভাবে রোটেশন করে ম্যাচ পরিস্থিতি বুঝে অনুশীলনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’