বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ও কর্মধা ইউনিয়নের ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফানাই নদী ও গুগালি ছড়ার পুরাতন ভাঙন দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে ৩০০ একর পাকা আউশ ও ২০০ একর আমনের হালি চারা তলিয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, গত দুইদিনের ভারী বৃষ্টির ফলে জয়চন্ডী ইউনিয়নের গুগালি ছড়ার আগে ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে। ফলে দানাপুর ও ঘাগটিয়া গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।
কর্মাধা ইউনিয়নের নুনা হোসেনাবাদ, টিলাবাড়ি ও রাঙ্গীছড়া গ্রামে ফানাই নদীর পানিতে ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। এই দুইটি ইউনিয়নের প্রায় ৩০০ একর পাকা আউশ ও ২০০ একর আমনের হালি চারা পানিতে ডুবে যায়।
কর্মধা ইউনিয়নের নুনা হোসেনাবাদ গ্রামের ছালিক আহমদ বলেন, “এক বছর পার হলেও ফানাই নদীর ভাঙন মেরামত হয়নি। ভাঙন দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে আমাদের ফসলি জমি নষ্ট করল। প্রায় ২০০ একর ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে।”
জয়চন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিলন বৈদ্য বলেন, “গত বছর গুগালি ছড়ার কয়েটি স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। এক বছর পার হলেও এই ভাঙন মেরামত হয়নি। গত দুই দিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে।
কুলাউড়া কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রুবেল রানা বলেন, “রের্কড পরিমাণ বৃষ্টির ফলে পাহাড়ি ঢলে পাকা আউশ ও আমন চারার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা যায়নি।”
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন বলেন, “মাঠ পর্যায়ে লোকজন কাজ করছে। এখনো আমাদের হাতে রির্পোট আসেনি। ভারী বর্ষণে পাহাড়ি ঢল নেমে কুলাউড়ার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানি দ্রুত নেমে যাচ্ছে।”