টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের মিছিলে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে কালিহাতী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় ও বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটোর নেতৃত্বে, কালিহাতী আরএস সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজয় মিছিল বের হয়।
অপরদিকে, কালিহাতী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আরেক কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান মতিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শুকুর মাহমুদ তালুকদার, ড্যাব নেতা ডা. শাহ আলম ও কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হালিম নেতাকর্মীদের নিয়ে শহীদ শফি সিদ্দিকী তোরণের পাশে সমাবেশ করছিলেন।
মিছিলটি সমাবেশের কাছাকাছি গেলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় কয়েকজন আহত হন।
উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শুকুর মাহমুদ জানান, টিটোর নেতৃত্বে আওয়ামীপন্থি লোকজন আমাদের সমাবেশস্থলে মিছিল নিয়ে এসে কর্মীদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। কালিহাতীর মানুষ হামলা প্রতিহত করতে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। এতে আমাদের কয়েকজন কর্মী আহত হন।
উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মজনু মিয়া জানান, বেনজির আহমেদ টিটোর নেতৃত্বে বিজয় মিছিল বের করে বাসস্ট্যান্ডে দলীয় কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলাম। পূর্বপরিকল্পিতভাবে লুৎফর রহমান মতিন, শুকুর মাহমুদ, ডা. শাহ আলম, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হালিম, আলী আকবর জব্বার ও আব্দুল আউয়ালের নেতৃত্বে তাদের কর্মী সমর্থকরা আওয়ামী সমর্থকদের নিয়ে মিছিলের ভিতরে ঢুকে হামলা চালায়। এ ঘটনায় আমাদের ১০-১৫ জন কর্মী-সমর্থক আহত হন।
কালিহাতী সার্কেলের এএসপি (ভারপ্রাপ্ত) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, “বিএনপির উভয় পক্ষের কর্মসূচি ছিল। পাশাপাশি বিজয় মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত এবং পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”