মৌলভীবাজারে নদীতে পড়ে নিখোঁজের ৪৩ ঘণ্টা পর সাবেক এক ক্রিকেটারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী জেলা সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বড় ফেসি এলাকায় কুশিয়ারা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে, গত বুধবার রাত ১১টার দিতে মনু নদীর পালপুর খেয়াঘাটে নৌকা থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন তিনি। নিহতের নাম মছব্বির আহমদ (৩৫)। তিনি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সোনাপুর (কালেঙ্গা) গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে ও মৌলভীবাজার জেলা ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড় ছিলেন।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মিরপুর গ্রামে অবস্থিত এক বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যান মছব্বির। সেখান থেকে ফেরার পথে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন তিনি। পরে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্বজনেরা খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি। এরপর মৌলভীবাজার ও জগন্নাথপুরের বিভিন্ন বাজারের দোকানপাটে মছব্বিরের ছবি ও যোগাযোগের জন্য মোবাইল নম্বর দিয়ে সন্ধান পেলে জানানোর জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় মছব্বিরের স্বজন ফুল মিয়ার মোবাইলে এক ব্যক্তি ফোন করে জানান, কুশিয়ারা নদীতে এক পুরুষের মরদেহ ভাসতে দেখা গেছে। খবর পেয়ে স্বজনেরা ওই এলাকায় গিয়ে মরদেহটি মছব্বিরের বলে শনাক্ত করেন। পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিহতের বড় ভাই আলাল মিয়া বলেন, ‘‘বুধবার রাত ১টার দিকে আমাকে ফোন দিয়ে জানানো হয়, মছব্বির একা নৌকা নিয়ে নদী পার হওয়ার সময় পড়ে যায়। এ ঘটনায় মৌলভীবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলাম। শুক্রবার সন্ধ্যায় নদীতে এক পুরুষের মরদেহ ভাসতে থাকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে মরদেহটি মছব্বিরের বলে শনাক্ত করি।’’
মৌলভীবাজার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গাজী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘‘মছব্বির নিখোঁজের ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাকে উদ্ধারে ব্যাপক তৎপরতা চালানো হয়। কিন্তু, পাওয়া যায়নি। শুক্রবার কুশিয়ারা নদীতে একজনের মরদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে স্বজনেরা গিয়ে মরদেহটি মছব্বিরের বলে শনাক্ত করেন।’’