সাতসতেরো

আতঙ্কের বিষয়: ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে প্রবাল প্রাচীর

প্রকৃতি, পরিবেশের সবকিছুতেই প্রতিনিয়ত পরিবর্তন আসছে। কোনো কোনো প্রাণী ও উদ্ভিদ প্রকৃতি থেকে চিরতরে হারিয়ে যাচ্ছে। এইতো গত এক বছরের মধ্যে গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ থেকে বিপুল পরিমাণে প্রবাল হারিয়ে যাচ্ছে। আতঙ্কের বিষয় হচ্ছে, গত চার দশকেও এই চিত্র ছিল না। ধীরে পরিবর্তন হচ্ছিলো প্রবাল প্রাচীর। কিন্তু ২০২৩ সালে জানুয়ারি থেকে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে জীবন্ত প্রবাল ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে এবং হারিয়ে যাচ্ছে। 

অস্ট্রেলিয়ান ইনস্টিটিউট অফ মেরিন সায়েন্স- এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘২০১৭ সাল থেকে গ্রেট ব্যারিয়ার রিফে প্রবালের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছিলো। কিন্তু ২০২৩ সালে জানুয়ারি থেকে প্রবাল ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এবং হারিয়ে যাচ্ছে।’’

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন,  সমুদ্রতলেও তাপমাত্রা বেড়েছে। অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে প্রবাল দুর্বল হয়ে পড়ছে। এর ফলে পৃথিবী আরও উত্তপ্ত হবে।

জানা যায়, উত্তর-পূর্ব অস্ট্রেলিয়া উপকূলে ৩ লাখ ৪৪ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে এই প্রবাল প্রাচীর। যদিও এখনও সেখানে যথেষ্ট প্রবালের স্তর আছে। কিন্তু যে হারে কমতে শুরু করেছে তা আতঙ্কের বিষয়। 

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড উপকূল বরাবর ১৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রবাল প্রাচীরকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়— উত্তর, মধ্য, দক্ষিণ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দক্ষিণ ভাগে থাকা প্রবাল প্রাচীর। এই অংশের তিন ভাগের এক ভাগ ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছে। 

এরপরেই মধ্য ভাগ। এখানে থাকা প্রবাল প্রাচীরের ১৪ শতাংশ ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছে। চার ভাগের এক ভাগ অংশ ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছে উত্তর ভাগে থাকা প্রবাল প্রাচীর।

ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৩-২৪ সালে প্রচণ্ড গরম পড়ার কারণে প্রবাল দুর্বল হয়ে পড়েছে। এবং ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। কিন্তু প্রবাল প্রাচীর ক্ষতিগ্রস্ত হলে পৃথিবীতে তাপমাত্রা আরও বেড়ে যাবে।