খেলাধুলা

দ্বিতীয়ার্ধে খেই হারিয়ে হারলো বাংলাদেশ

নারী অনূর্ধ্ব-২০ এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে সোনালী ইতিহাস গড়ার সামনে দাঁড়িয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। এই ম্যাচে মাত্র ১ পয়েন্ট পেলেই ইতিহাস গড়ার সুযোগ ছিল। প্রথমবারের মতো খেলার সুযোগ ছিল যুব এশিয়ান কাপের মূলপর্বে। সেই লক্ষ্যে প্রথমার্ধে দারুণ লড়াইও করে পিটার বাটলারের শিষ্যরা। প্রথমে লিড নিয়ে ১-১ গোলের সমতা নিয়ে শেষ করে প্রথমার্ধের খেলা।

কিন্তু বিরতির পর খেই হারায় বাংলাদেশের মেয়েরা। এই অর্ধে আর কোনো গোল তো দিতেই পারেনি, উল্টো হজম করেছে ৫টি গোল! তাতে ৬-১ ব্যবধানে হেরে এখন সমীকরণ মেলানোর অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশ।

এমিন লাওসের ভিয়েনতিয়েনের নিও লাও স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১৫ মিনিটে লিড নেয় বাংলাদেশ। এ সময় ওয়ান টু ওয়ান করে আক্রমণে ওঠেন সাগরিকা ও শান্তি মার্ডি। ডি বক্সের কাছাকাছি গিয়ে ডানদিকে মার্ডিকে বল বাড়িয়ে দেন সাগরিকা। মার্ডি বক্সের মধ্যে ঢুকে বাম পায়ে দূরের পোস্টে শট নেন। সেটি ফেরান দক্ষিণ কোরিয়ার গোলরক্ষক হায়েবিন। কিন্তু বল চলে যায় শ্রীমতি তৃষ্ণার কাছে। তৃষ্ণা আলতো টোকায় বল জালে জড়িয়ে এগিয়ে নেন বাংলাদেশকে।

তবে বেশিক্ষণ এগিয়ে থাকতে পারেনি পিটার বাটলারের শিষ্যরা। ১৯ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে গোল করেন কোরিয়ার ১০ নম্বর জার্সধারী খেলোয়াড় লি হায়েউন। এরপর উভয় দল আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণের পসরা সাজালেও জালের নাগাল পায়নি। তাতে ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধের লড়াই।

বিরতির পর ৪৮ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় কোরিয়া। এ সময় ডি বক্সের মধ্যে সতীর্থে বাড়ানো বল পেয়ে গোল করেন চো হিইয়ং। ৬০ মিনিটে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করে ব্যবধান ৩-১ করেন হিইয়ং।

৮৫ মিনিটে পেনাল্টি পায় কোরিয়া। আর পেনাল্টি থেকে লি হায়েউন গোল করে ব্যবধান করেন ৪-১। ৯০ মিনিটে ডানদিক থেকে চই জুহংয়ের ক্রসে মাথা লাগিয়ে জালে জড়ান লি হায়েউন। তাতে তার হ্যাটট্রিক পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি ব্যবধান হয় ৫-১। আর যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে (৯০+৬) জিন হাইয়েরিন গোল করে বাংলাদেশের পরাজয়ের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন।

৬-১ ব্যবধানের হার এখন শঙ্কায় ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশকে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও সেরা তিন রানার্স-আপের একটি হয়ে মূলপর্বে যেতে পারবে কিনা সেটাও অনিশ্চয়তার দোলাচলে দুলছে সমীকরণের মারপ্যাচে।