বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়ে ভালো আলোচনা হয়েছে খুব কম সময়ই। যা আলোচনা হয়েছে বেশিরভাগই নেতিবাচক। সেটা খেলার শুরুর আগে, খেলা চলাকালীন এবং এখন খেলা শেষেও। মাঠের আলোচনা পেরিয়ে বিপিএলের সমালোচনা ডানাপালা মেলে বিস্তৃত। যেতে হয় আদালত পর্যন্তও। তবুও বিপিএল প্রতি বছরই মাঠে গড়ায় সমালোচনা নিয়ে।
সম্প্রতি বিপিএল নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে তা হল, বিসিবির দাবি তারা চিটাগং কিংসের থেকে ৪৬ কোটি টাকা পাওণা। কিছুদিন আগে কিংসের বিরুদ্ধে পাওনা ৪৬ কোটি টাকা চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে বিসিবি। পাওনার নোটিশকে ভিত্তিহীন বলেছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি চিটাগং কিংসের মালিক সামির কাদের চৌধুরী।
এই সমস্যার সমাধানে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও বিসিবির সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেননি বলে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তবে সোমবার বিসিবি তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, দ্রুতই তার সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে তারা।
সোমবার সামির কাদের বলেছেন, ‘‘আমার সাথে আজকে কথা হয়েছে কিছু বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে। ওনারা আমাকে নিশ্চিত করেছেন যে এটা নিয়ে আমার সাথে খুব শিগগিরই বসে সমাধান করবে। এখন যেহেতু তারা আমাকে আজকে দুপুরবেলা বলেছেই যে তারা বসবেন, আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, এতদিন পর যে নিজ থেকে তারা এখন আমাকে ডাকছে আলোচনায় বসার জন্য।’’
‘‘মজার বিষয় হলো এই ফিগারটা ৪৬ কোটি টাকার। এটা না ওনাদের (বিসিবি) কাছে কোনও জবাব আছে, না আমার কাছেও কোনও জবাব আছে। কিন্তু বাজারে ঘুরছে ৪৬ কোটি টাকার কথা। এই ফিগারটা কোথা থেকে আসছে এটা কারও কাছে কোনও উত্তর নেই। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছেও এটা আপনাদের সামনে হয়তোবা জিজ্ঞেস করা হয়েছে, এটার কোনও উত্তরই নেই। আমার কাছেও নেই।’’
‘‘২০১৮ সালে বিসিবি বকেয়ার বিষয়ে হাইকোর্ট থেকে স্টে-অর্ডার নিয়েছিল, ফারুক আহমেদের (সাবেক বিসিবি সভাপতি) সঙ্গে আমাদের সমঝোতা হয় যে সাড়ে ৩ কোটি টাকা দিতে হবে, এখন সেটা ৪৬ কোটি কীভাবে হলো এটা বিসিবিও জানেনা, আমার সঙ্গে বসতে রাজি হয়েছে তারা।’’ - যোগ করেন তিনি।
এছাড়া চিটাগং কিংসের বিরুদ্ধে খেলোয়াড় ও ম্যানেজমেন্টের পারিশ্রমিক বকেয়া, হোটেলের বিল বকেয়াসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। সেসব বোর্ডের মাধ্যমে সমাধান করার কথা বলেছেন সামির কাদের।
চিটাগং কিংস সর্বশেষ বিপিএলের রানার্স আপ। সামনের আসরে বিপিএলে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক চিটাগং। তবে বেশ কিছু বিষয়ে পরিস্কার হতে চান তিনি, ‘‘এটা আমি এখনো বলতে পারছি না। বিপিএলে অংশ নিতে হাজার কোটি টাকা থাকতে হবে। যাদের ১০০-২০০ কোটি টাকা আছে, ইভেন হাজার কোটি টাকা আছে তাদের আসা উচিত। আমার কাছে এতো টাকা নাই-ও।’’
‘‘আমি যতক্ষণ না বিসিবির সঙ্গে বসছি ততক্ষণ পর্যন্ত আমি বলতে পারছি না। আমরা যতটুকু শুনেছি তারা সবকিছু নতুনভাবে ফরম্যাট তৈরি করবে। ওইগুলো না দেখে আসলে বলা যাচ্ছে না। আত্মবিশ্বাসের ব্যাপারটা হচ্ছে আমাকে বিশ্লেষণ করতে হবে তারপর বলতে পারব। তাদের ফরম্যাটে এখন যদি আসে ফ্র্যাঞ্চাইজি ১০ কোটি টাকা, লভ্যাংশে কী আসবে না আসবে, না দেখে আমি কিছুই বলতে পারি না।’’