উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণের কারণে তিস্তা নদীর পানি আবারো বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে এই নদীর পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এদিকে, পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার দুইটি উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি অবস্থায় আছেন এসব এলাকার পাঁচ হাজার পরিবার।পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পানি বৃদ্ধির ফলে ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখাড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ী এবং জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ী, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান জানান, সবচেয়ে বড় চর গ্রাম ঝাড়সিংশ্বরসহ আরো কিছু চরে তিস্তার পানি ঢুকে পড়েছে। ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, “আজ সকাল ৬টা থেকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়। সকাল ৯ টায় পানি কিছুটা কমে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।”
তিনি জানান, দ্রুত পানি কমে গেছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।