ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রূপা গাঙ্গুলির মা মারা গেছেন। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন রূপার মা যুথিকা গাঙ্গুলি।
ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন রূপা গাঙ্গুলির মা যুথিকা। দীর্ঘ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। তাছাড়া বার্ধক্যজনতি নানা রোগেও ভুগছিলেন। সর্বশেষ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করলেন তিনি। শুক্রবার তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
মায়ের মৃত্যুর পর রূপা গাঙ্গুলি তার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়েছেন। তাতে এই অভিনেত্রী লেখেন, “মা চলে গেলেন বাবার সঙ্গে দেখা করতে।”
রূপা গাঙ্গুরির জীবনজুড়ে ছিলেন তার মা যুথিকা। বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় গিয়ে একা হাতে মেয়েকে মানুষ করেছিলেন তিনি। কারণ সেই সময়ে রূপার বাবা বাংলাদেশে বসবাস করতেন।
একাধিক সাক্ষাৎকারে রূপা গাঙ্গুলি জানিয়েছিলেন, তার মা হাতের কাজ খুব ভালো জানতেন। অর্থিক অনটন ছিল তাদের সঙ্গী। কমপক্ষে অন্তত কুড়িবার ভাড়া বাড়ি বদল করতে হয় তাদের। একসময় যোধপুরে ভাড়া বাড়িতেও থেকেছেন তারা। অভিনেত্রীর মায়ের তখন রোজগার ছিল মাত্র ২০০ রুপি।
বড়বাজার থেকে কাপড় কিনে এনে পর্দা, কুশন কাভার, বালিশের কাভার এসব বানাতেন যুথিকা। রূপাও কখনো কখনো মাকে সাহায্য করতেন। ছোট্ট ঘরে একটা চৌকি আর সেলাই মেশিন ছিল তাদের সম্বল। মায়ের কাছ থেকেই জীবনশক্তির মন্ত্র পেয়েছেন বলেও জানান রূপা।
১৯৮৮ সালে টিভি সিরিয়াল মহাভারতে ধ্রুপদী চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন রূপা গাঙ্গুলি। তারপর অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করে জিতে নেন নানা পুরস্কার, সেই সঙ্গে জিতে নিয়েছেন দর্শকদের মনও। ১৯৯২ সালে গৌতম ঘোষ নির্মিত ‘পদ্ম নদীর মাঝি’ সিনেমায় কপিলা চরিত্রে তার অনবদ্য অভিনয় এখনো দর্শক মনে গেঁথে আছে। ২০১৫ সালে বিজেপির রাজনীতিতে পা রাখেন এই অভিনেত্রী।