বিদেশে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
রবিবার (১৭ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সব দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কি না, জানতে চাইলে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘‘আমিও আপনার মতো শুনেছি এবং পত্রিকায় পড়েছি। আমি যেহেতু বিদেশি দূতাবাসে কাজ করি না, তাই আমি বলতে পারছি না প্রেক্ষিতটা কী, এটার সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক আছে বলে আমার মনে হয় না।’’
রাষ্ট্রপতি থাকছেন না, প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন, এমন একটা আলোচনা আছে- এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘এ রকম আলোচনার কি শেষ আছে? কত আলোচনা শুনেছিলাম। জুনের মধ্যেও নির্বাচন হবে না, এই মাসের মধ্যে নির্বাচন হবে। রাজনৈতিক বিষয় তো? আমরা বাংলাদেশিরা রাজনৈতিক সচেতন, প্রত্যেকের কাছে সব ঘটনার একটা ব্যাখ্যা আছে। হয়তো এটার (দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানো) পেছনে কোনো ব্যাখ্যাই নেই। কিন্তু এটার সঙ্গে নির্বাচনের যে কোনো সম্পর্ক নেই, এটা একেবারেই স্পষ্ট।’’
যথাসময়ে নির্বাচন হবে কি না, জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘সরকারের পরিকল্পনা তো প্রধান উপদেষ্টা নিজে পরিষ্কার করে বলেছেন। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তাদের নিজস্ব হিসাব-নিকাশ আছে, নিজস্ব রাজনীতি আছে। এটার সঙ্গে তো সরকারের অবস্থান বদলের কোনো সম্পর্ক নেই। সরকার বলেছে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে এবং সেই মোতাবেক নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুতি নিতে বলেছে, এটাই হচ্ছে সরকারের অবস্থান। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন হবে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘সরকার কোনো রাজনৈতিক দলের কথা শুনে নয়, সরকার সরকারের মতো আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়।’’
বিদেশে বাংলাদেশের সব কূটনৈতিক মিশন, কনস্যুলেট, কূটনীতিকদের কার্যালয় ও বাসভবন থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানোর মৌখিক নির্দেশ দিয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর হয়েছে। এ নিয়ে নানা প্রশ্নের জন্ম হয়েছে; রাজনৈতিক পরিসর থেকে সাধারণ মানুষও বিষয়টি নিয়ে কথা বলছে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে, যা নিয়ে নানা মন্তব্য আসছে।