জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের যোগ্যতার শর্ত পূরণ না করেই উপ-পরিচালক পদে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে অর্থ দপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মো. নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে এবং মোটা অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে তিনি এ পদে নিয়োগ লাভ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, উপ-পরিচালক পদে আবেদনের জন্য ন্যূনতম ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা এবং এর মধ্যে সহকারী পরিচালক হিসেবে ৪ বছরের অভিজ্ঞতা থাকা বাধ্যতামূলক ছিল।
কিন্তু নজরুল ইসলাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিভিন্ন শাখায় মাত্র ৭ বছর ৬ মাস এজিএম হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর বাইরে তিনি ২ বছর ১১ মাস হিসাবরক্ষক পদে চাকরি করেন, যা কর্মকর্তা পদ নয়। ফলে বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী তার ২ বছর ৬ মাসের অভিজ্ঞতা ঘাটতি থেকে যায়। এছাড়া এজিএম পদটিও সহকারী পরিচালক সমমান নয়। প্রভাবশালী সিন্ডিকেট সদস্যকে উৎকোচের মাধ্যমে ম্যানেজ করে তিনি এ যোগ্যতা নিয়ে পদোন্নতি লাভ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. নজরুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমার অভিজ্ঞতায় কোনো ঘাটতি নেই। বিজ্ঞপ্তিতে চাওয়া শর্ত পূরণ করেই নিয়োগ পেয়েছি।”
এদিকে, তার বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও বাধা প্রদানের মামলায় তিনি ১২ নম্বর আসামি। মামলায় তাকে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের অর্থদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য ও প্রশাসনে দলীয়করণসহ নানা অনিয়মের সঙ্গেও তার নাম জড়িত। সম্প্রতি এসব অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, “প্রশাসনিক অনিয়ম ও দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত কমিটি কাজ করছে। কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”