স্থায়ী ক্যাম্পাসসহ ১৫ দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেছেন বেসরকারি ফেনী ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে পুলিশ লাইন্স সংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে অনেক দিন আগে প্রশাসনের কাছে ১৫টি দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিলেও সেগুলোর কার্যকর বাস্তবায়ন হয়নি। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দাবি হলো- স্থায়ী ক্যাম্পাস।
শিক্ষার্থীদের আশঙ্কা, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়া সম্ভব না হলে ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘রেড লিস্টে’ অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে।
এ ছাড়া, নিজস্ব বাস সার্ভিস চালু, লাইব্রেরিতে পর্যাপ্ত বই সংযোজন, মুট কোর্ট রুম, ছাত্র সংসদ গঠন, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ, রেজিস্ট্রেশনে জরিমানা বন্ধ এবং পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগের দাবিও রয়েছে তাদের।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আদনান আরাফাত বলেন, “এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা বারবার দাবি জানাচ্ছি। স্থায়ী ক্যাম্পাস নিয়ে এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অথচ ইউজিসি স্পষ্ট জানিয়েছে, ডিসেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে না পারলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আসবে। এজন্য আমরা বাধ্য হয়েছি শাটডাউন করতে।”
অপর শিক্ষার্থী ইমন শাহরিয়ার বলেন, “দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। প্রয়োজনে আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করব।”
ফেনী ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, “স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য আগের জমি নিয়ে মামলা চলমান। তবে, নতুন জমি কেনা হয়েছে। সেখানে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে।”
তিনি আরো বলেন, “শিক্ষার্থীরা বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যানকে ক্যাম্পাসে আসতে বলেছিলেন। তিনি আগামী শুক্রবার আসবেন বলে জানিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বলা হলেও তারা শাটডাউন ঘোষণা করেছেন।”
গত বছরের ১৩ আগস্ট শিক্ষার্থীরা প্রথমবার ১৫ দফা দাবি পেশ করেন। দাবি পূরণে আশ্বাস মিললেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় তারা ২১ অক্টোবর ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। সর্বশেষ গত ১৮ ফেব্রুয়ারি একই দাবিতে আবারো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।