নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলে খাবারের মান বৃদ্ধি ও ভর্তুকি প্রদানের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
তাদের অভিযোগ, হল ক্যান্টিনে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। প্রাধ্যক্ষকে দেখা যায় না এবং দেখা করার জন্যও আলাদা অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয়। এ সময় তারা হল প্রাধ্যক্ষকে অমাবস্যার চাঁদ আখ্যা দেন।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টায় ক্যান্টিন পরিচালকের অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা হল ক্যান্টিনে তালা ঝুলিয়ে দেন।
আন্দোলন চলাকালে তারা ‘হলে ভর্তুকি কই, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘১ ২ ৩ ৪, ডাইনিং ম্যানেজার গদি ছাড়’, ‘হলে গ্যাস নাই, প্রশাসন জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
তবে ক্যান্টিন ম্যানেজার জানান, অনেক ছাত্রী রুমে ইনডাকশন ব্যবহার করে রান্না করেন, ফলে ক্যান্টিন আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে হলে তল্লাশি চালিয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীর রান্নার সরঞ্জাম জব্দ করেছেন প্রাধ্যক্ষ।
আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে খাবারে সমস্যা চলছে। নিম্নমানের খাবার, পোকামাকড়, নেইল কাটার পাওয়া যায়। এসব সমস্যার সমাধান আমরা চাই কেবল প্রাধ্যক্ষের কাছেই। কিন্তু তাকে তো দেখা যায় না। তিনি হচ্ছেন অমাবস্যার চাঁদ। দেখা করতে হলে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয়। একজন প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করতে গেলে কেন অ্যাপয়েন্টমেন্ট লাগবে?”
পরবর্তীতে হল প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেয়ায় আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।
হল প্রাধ্যক্ষ ড. আবিদুর রহমান বলেন, “আমিসহ সব সহকারী প্রাধ্যক্ষরা খুব দ্রুত ছাত্রীদের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করব এবং সেখানে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করব। আজ আমি অসুস্থ থাকার কারণে হলে যেতে পারিনি।”
শিক্ষার্থীদের চাপে বুধবার (২০ আগস্ট) সকাল ১০টায় আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হলেও, হল প্রাধ্যক্ষ নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হননি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাধ্যক্ষ ছুটির দিন ও বৈরি আবহাওয়ার কারণ উল্লেখ করেন।