জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের এপিএস ও কসবা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়ার (জীবন) বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাংকে সন্দেহজনক লেনদেনসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের প্রমাণ পাওয়ায় সম্পদের হিসাব চেয়ে রাশেদুল কাওসারের স্ত্রী লুৎফুন নাহারকে নোটিশ দিয়েছে সংস্থাটি।
বুধবার (২০ আগস্ট) দুদকের উপপরিচালক মো. আক্তারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাশেদুল কাওসার আইনমন্ত্রীর এপিএস ছিলেন। ২০১৯ সালে ওই পদ থেকে অব্যাহতি নিয়ে কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। দুদকের অনুসন্ধানে তার স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৬১ লাখ ৫৯ হাজার ৩৩৩ টাকা এবং অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৫২ লাখ ৫৮ হাজার ৫২৬ টাকা। সব মিলিয়ে তার নামে ৩ কোটি ১৪ লাখ ১৭ হাজার ৮৫৯ টাকার সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে। যার বিপরীতে বৈধ আয়ের উৎস পাওয়া গেছে মাত্র ৮৩ লাখ ২০ হাজার ১০৬ টাকা। তিনি ২ কোটি ৩০ লাখ ৯৭ হাজার ৭৫৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তার বিরুদ্ধে দুদক আইন এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অন্যদিকে রাশেদুল কাওসারের স্ত্রী লুৎফুন নাহারের নামে-বেনামে বিপুল সম্পদ ও ব্যাংক হিসাবের লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুদক। এসব অর্থ বিনিয়োগ, হস্তান্তর, স্থানান্তর বা রূপান্তর করা হয়েছে কি না যাচাইয়ের জন্য তাকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে দুদক।