বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে পাকিস্তান আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশে সফররত পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদের মধ্যে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে আগ্রহ প্রকাশ করে বলে জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) মতিঝিল কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার, ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মান, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এবং পাকিস্তান হাইকমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, “সংষ্কৃতি ও জীবনাচরনের দিক দিয়ে দুই দেশের মানুষের প্রচুর মিল রয়েছে এবং পাকিস্তানের টেক্সটাইল ও বিশেষকরে জুয়েলারি পণ্য এদেশের মানুষের মাঝে বেশ চাহিদা রয়েছে।”
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, “বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উন্নয়নে এফটিএ স্বাক্ষরের জন্য এ দেশের বেসরকারি খাত সবসময়ই সরকারকে প্রস্তাব দিয়ে আসছে এবং পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের এফটিএ স্বাক্ষর হলে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য আরো সম্প্রসারিত হবে।”
তিনি বলেন, “দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান ও কার্গো যোগাযোগ চালু হতে ব্যবসায়িক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে।”
পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান বলেন, “বাংলাদেশ ও পাকিস্তান উভয়ই রপ্তানির ক্ষেত্রে তৈরি পোষাক এবং টেক্সটাইল খাতের ওপর অধিকমাত্রায় নির্ভরশীল, দুটো দেশেরই রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণের ওপর জোরারোপ করা প্রয়োজন।”
তিনি উল্লেখ করেন, “ইউরোপের দেশগুলোসহ কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত পোষাকের নতুন ডিজাইনের মাধ্যমে পুনঃব্যবহারের জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে, যেখানে দুই দেশের পোষাক খাতের উদ্যোক্তাদের মনোনিবেশ করা আবশ্যক, যার মাধ্যমে রপ্তানি বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।”
তিনি জানান, পূর্ব আফ্রিকা ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে দুই দেশের পণ্য রপ্তানি বাড়াতে একযোগে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।”
তিনি বলেন, “সিমেন্ট, চিনি, পাদুকা ও চামড়া প্রভৃতি খাতে পাকিস্তানের বেশ ভালো করছে এবং বাংলাদেশ চাইলে পাকিস্তান হতে এ পণ্যগুলো আমদানি করতে পারে, পাশাপাশি ওষুধ খাতে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা পাকিস্তানের জন্য বেশ কার্যকর হবে বলে মত প্রকাশ করেন।”
পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, “দুই দেশের কৃষি কাজ এবং পণ্যের উৎপাদনে নতুন প্রযুক্তি ও মূল্য সংযোজন বৃদ্ধি করা গেলে এ খাতে বৈশ্বিক বিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে।”
তিনি জানান, পাকিস্তানের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে শিগগিরই বাংলাদেশে ‘সিঙ্গেল কান্ট্রি এক্সিবিশন’-এর আয়োজন করা হবে, যার মাধ্যমে দুই দেশের বেসরকারি খাতের সম্পর্ক আরো জোরাদারের সুযোগ তৈরি হবে।