রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দাবি করছেন যে ইউক্রেন যেন পূর্ব ডনবাস অঞ্চলের সমস্ত অংশ ত্যাগ করে, ন্যাটোতে যোগদানের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করে, নিরপেক্ষ থাকে এবং পশ্চিমা সেনাদের দেশ থেকে দূরে রাখে। ক্রেমলিনের শীর্ষ পর্যায়ের চিন্তাভাবনার সাথে পরিচিত তিনটি সূত্র রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে।
চার বছরেরও বেশি সময় পর প্রথম রাশিয়া-মার্কিন শীর্ষ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট শুক্রবার আলাস্কায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে দেখা করেন। তাদের তিন ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস বৈঠকের প্রায় পুরো সময়টাই ইউক্রেনের বিষয়ে একটি আপস কেমন হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করেন। পরে ট্রাম্পের পাশে কথা বলার সময় পুতিন জানান, তাদের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছে তাতে আশা করা যায় ইউক্রেনে শান্তির পথ খুলে দেবে - তবে কোনো নেতাই তাদের আলোচনা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কিছু বলেননি।
রাশিয়ান সূত্রগুলো জানিয়েছে, পুতিন ২০২৪ সালের জুনে যে আঞ্চলিক দাবিগুলো তুলে ধরেছিলেন তার সাথে আপস করেছেন। ওই সময় পুতিন পূর্ব ইউক্রেনের দোনেতস্ক ও লুহানস্ক - যা ডোনবাস অঞ্চলে অবস্থিত এবং দক্ষিণে খেরসন এবং জাপোরিঝিয়ার দখল দাবি করেছিলেন।
তিনটি সূত্রের মতে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট তার নতুন প্রস্তাবে ডোনবাসের অংশগুলো সম্পূর্ণরূপে মস্কোর অন্তর্ভূক্তির দাবিতে অটল রয়েছেন। তবে জাপোরিঝিয়া এবং খেরসনে যুদ্ধ বন্ধ করে দেবে মস্কো।
মার্কিন অনুমান এবং ওপেন-সোর্স তথ্য অনুসারে, রাশিয়া ডোনবাসের প্রায় ৮৮ শতাংশ এবং জাপোরিঝিয়া ও খেরসনের ৭৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে।
মস্কো সম্ভাব্য চুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনের খারকিভ, সুমি এবং ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলের ছোট ছোট অংশ হস্তান্তর করতেও ইচ্ছুক বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে।
সূত্রগুলো আরো জানিয়েছে, পুতিন আরো কিছু দাবির প্রতি অটল রয়েছেন। এগুলো হচ্ছে-ইউক্রেন তার ন্যাটো উচ্চাকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করবে এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের কাছ থেকে আইনত বাধ্যতামূলক প্রতিশ্রুতি চাইবে যে এটি আরও পূর্ব দিকে সম্প্রসারণ করবে না, সেইসাথে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর উপর সীমাবদ্ধতা এবং শান্তিরক্ষী বাহিনীর অংশ হিসেবে ইউক্রেনের মাটিতে কোনো পশ্চিমা সেনা মোতায়েন করা হবে না।