ভোটের অধিকার ফিরে পেতে ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলন করেছিলেন জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন ভালো মানুষকে ভোট দিয়ে জয়ী করবেন। যে জনপ্রতিনিধি জনগণের অধিকারের কথা বলবেন।’’
তিনি বলেন, ‘‘রাজনীতিকে সবার কাছে নিয়ে যেতে হবে। তাই জনগণের প্রতিনিধিকে নেতা বানাতে হবে। আপনাদের কাছে সুযোগ এসেছে; যারা ভালো কাজ করে, ভালো কাজ করতে চায়, তাদের এমপি বানান।’’
শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুরে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর কলেজ বাসস্ট্যান্ডে জেলা গণঅধিকার পরিষদ অযোজিত পথসভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠনের দাবি জানিয়ে নুরুল হক নুর বলেন, ‘‘পুরনো রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মধ্যে দিয়ে নির্বাচন হলে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা সম্ভব নয়। তাই নির্বাচনে নতুন বন্দোবস্ত নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। দ্বি কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ হবে, উচ্চ কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে। এভাবে আমাদের নতুন বন্দোবস্তের দিকে পর্যায়ক্রমে এগিয়ে যেতে হবে।’’
আইনশৃংখলা বাহিনীকে যাতে আগামীতে কেউ নিজেদের পেটোয়া বাহিনীতে পরিণত করতে না পারে, তার জন্য রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি আইনশৃংখলাবাহিনীকে জনবান্ধব বাহিনীতে পরিণত করার আহবান জানান তিনি।
জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি আল আমিন সরদারের সভাপতিত্বে ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অপু মুন্সীর সঞ্চালনায় পথসভায় দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজুর রহমান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান, যুব অধিকার পরিষদের প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক ফারুক হোসেন, গোপালগঞ্জ জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা ইব্রাহিম, গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি শেখ মোজাহিদ, মুকসুদপুর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এর আগে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে যোগ দেয়।
গণঅধিকার পরিষদের পথসভা কেন্দ্র করে পথসভা স্থল, মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী এলাকায় কড়া নিরাপত্তা নেয়া হয়। আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।