বাংলা গানের ব্ল্যাক ডায়মন্ড খ্যাত জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন। সাড়ে চার দশকেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে তিনি উপহার দিয়েছেন অগণিত জনপ্রিয় গান, অর্জন করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ দেশ-বিদেশের অজস্র সম্মাননা। আজ (২৩ আগস্ট) এই নন্দিত শিল্পীর জন্মদিন।
সংগীত নিয়ে আশাবাদী বেবী নাজনীন বললেন, “আমরা তো এক কঠিন সময়ের ঘোরচক্রে আটকে ছিলাম, সেখান থেকে মুক্তি আনতে পেরেছি। গানের ভুবনেও বদল আসবেই। কিন্তু এখন কী হচ্ছে? শিল্পী ও সংগীতায়োজকরা নিজ উদ্যোগে ইউটিউব চ্যানেল খুলে গান প্রকাশ করছেন, নিজেরাই ভিডিও বানাচ্ছেন। এতে কিছু গান আসছে ঠিকই, কিন্তু তাতে বাংলা গানের প্রসার আগের মতো হচ্ছে না। এখন যেহেতু গানে বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা নেই, সেক্ষেত্রে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে। তা না হলে বাংলা গান সমৃদ্ধ হবে না, ঐতিহ্যও ফিকে হয়ে যাবে। তাই সংগীতে সঠিক নজরদারি রাখতে হবে, যাতে হারানো জৌলুস ফিরে আসে।”
গত সাড়ে চার দশকের ক্যারিয়ারে বেবী নাজনীন আধুনিক সংগীতের অর্ধশতাধিক একক অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি অসংখ্য দ্বৈত অ্যালবাম এবং চলচ্চিত্রের জন্য গাওয়া গান তাকে পৌঁছে দিয়েছে বিশেষ জনপ্রিয়তার শিখরে। মঞ্চেও তার সরব উপস্থিতি বরাবরের মতো দর্শকদের মুগ্ধ করে আসছে।
বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের বিশেষ শ্রেণির তালিকাভুক্ত শিল্পী বেবী নাজনীন উপহার দিয়েছেন হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া অসংখ্য কালজয়ী গান। এর মধ্যে-‘মানুষ নিষ্পাপ পৃথিবীতে আসে’, ‘আমার একটা মানুষ আছে’, ‘ওই রংধনু থেকে’, ‘পত্রমিতা’, ‘এলোমেলো বাতাসে উড়িয়েছি শাড়ির আঁচল’, ‘কাল সারা রাত ছিল স্বপনেরও রাত’, ‘দু’চোখে ঘুম আসে না’—বাংলা গানের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে বিশেষভাবে।
বর্তমানে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের পরিষদের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তবে শিল্পী পরিচয়ের ঊর্ধ্বে গিয়ে বেবী নাজনীন আজও গানকেই জীবনের সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে দেখেন। আর সেই শক্তির মাধ্যমেই তিনি স্বপ্ন দেখেন বাংলা গানের আবারও সমৃদ্ধ ও দীপ্ত ভবিষ্যতের।