ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ইকসু) গঠনের দাবিতে একই প্লাটফর্মে এসেছেন ক্যাম্পাসের ক্রিয়াশীল সব ছাত্র সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যা ও শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে পৃথক আলোচনায় শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের নিয়ে ইকসু বাস্তবায়নে ‘মুভমেন্ট ফর ইকসু’ কমিটি গঠিত হয়েছে। তারা ইকসু বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কাজ করে যাবেন।
এদিকে শিক্ষার্থীরা একই দাবিতে ঐক্যবদ্ধ থাকলে ইকসু গঠনে কোনো বাঁধা নেই বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী।
জানা যায়, ইকসু গঠনের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টায় বিভিন্ন বিভাগের আটজন শিক্ষার্থী সংবাদ সম্মেলন করেন। পরে শিক্ষার্থীদের একাংশের সঙ্গে সম্মেলন আয়োজকদের কয়েক দফায় হট্টগোলের সৃষ্টি হলে একপর্যায়ে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা সম্মেলনস্থল থেকে বেরিয়ে যান।
পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যায় সকল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বিভিন্ন বিভাগসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের নিয়ে ইকসু গঠনের দাবিতে আলোচনা সভা করা হয়। সেখানে শিক্ষার্থীরা ইকসুতে নিয়মিত ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব, সাজিদ হত্যার বিচার, শিক্ষক নিয়োগ, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের বিরোধিতাকারীদের শান্তি নিশ্চিত, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ইকসুতে সংখ্যালঘুদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে মতামত দেন।
শনিবার দুপুরে দ্বিতীয় দফায় এ বিষয়ে আলোচনায় বসে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের নিয়ে 'মুভমেন্ট ফর ইকসু' কমিটি গঠিত হয়।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবির সাবেক সমন্বয়ক এসএম সুইট বলেন, “ইকসু আমাদের প্রাণের দাবি। ইকসু বাস্তবায়নের জন্য ‘মুভমেন্ট ফর ইকসু’ নামে একটা প্লাটফর্ম গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে সব ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন, সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী, সাংবাদিক, পূজা উদযাপন কমিটি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও প্রতিটি বিভাগ থেকে প্রতিনিধি নিয়ে গঠন করা হয়েছে। এই প্লাটফর্মের আংশিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি ইকসু বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন করে যাবে।”
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬ বিভাগের শিক্ষার্থীসহ সব ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন, সামাজিক ও অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা ঐক্যবদ্ধভাবে ইকসু গঠনের দাবি উপস্থাপন করতে পারে, তাহলে এটি আদায়ে আমাদের জন্য সহজ হবে। যেহেতু এখানে বসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একার পক্ষে তা সম্ভব না, সেহেতু সরকারকে এ ব্যাপারে আমাদের চাপ দিতে হবে, যাতে ইকসু নির্বাহী আদেশে অনুমোদন দেয়।”