কুমিল্লার পদুয়ার বাজারে সিমেন্টবাহী লরি উল্টে প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে একই পরিবারের চারজন নিহতের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। এছাড়া পদুয়ার বাজারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনের সড়কে বিপজ্জনক ইউটার্ন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কুমিল্লার ময়নামতি হাইওয়ে ক্রসিং থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ওমর আলীর ভাই আবুল কালাম বাদী হয়ে উল্টো পথে আসা হানিফ পরিবহন এবং লরির চালকসহ অন্যান্য অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। শনিবার (২৩ আগস্ট) কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুরে পদুয়ার বাজার ইউটার্নে চলন্ত লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে প্রাইভেটকারে ওপর পড়লে একই পরিবারের চারজন নিহত হয়।
এদিকে, শনিবার (২৩ আগস্ট) সকালে সেনাবাহিনী, হাইওয়ে পুলিশ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের সমন্বিত মতামতের ভিত্তিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে সেই ইউটার্ন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত সব গাড়ি সদর দক্ষিণ উপজেলার দয়াপুর ইউটার্ন থেকে ঘুরে আসতে হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আদনান বিন হাসান বলেন, রবিবার (২৪ আগস্ট) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সড়ক ও যোগাযোগবিষয়ক সমন্বিত সভা রয়েছে। সেখান থেকে সমন্বিতভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আপাতত ইউটার্নটি বন্ধ থাকবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পদুয়ার বাজার এলাকার ইউটার্নটি ‘মরণফাঁদে’ পরিণত হয়েছে। এই স্থানে চলতি বছরের ৮ মাসে অন্তত ১৭টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ২০ জন প্রাণ হারিয়েছে। অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আজিবার রহমান বলেন, ‘‘পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকার ইউটার্নে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। পাশের হোটেল নূরজাহানে যাত্রাবিরতি দিয়ে বিভিন্ন পরিবহনের চালকরা উল্টোপথে এসে ইউটার্ন অতিক্রম করেন। এতে দুর্ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুরে হানিফ পরিবহনের বাস উল্টোপথে এসে ইউটার্ন অতিক্রম করছিল। তখন ঢাকামুখী সিমেন্টবাহী লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে ইউটার্নে চলমান প্রাইভেটকার এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশার ওপর পড়ে। এতে প্রাইভেটকারে থাকা চারজন ঘটনাস্থলে মারা যায়। অটোরিকশার তিন যাত্রী আহত হয়।