আইপি বন্ধ থাকায় দিনাজপুরের হিলি বন্দর বাজারে বৃদ্ধি পেয়েছে ভারতীয় ও দেশি পেঁয়াজের দাম। কেজিপ্রতি খুচরা বাজারে বেড়েছে ১০ টাকা।
সরকার পেঁয়াজ আমদানির আইপি চালু করলে দাম কমে যাবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, দেশের বাজারে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বগতি হওয়ায় ভারত থেকে দীর্ঘ সাড়ে ৫ মাস পর পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। সেই লক্ষ্যে গত ১৭ আগস্ট পাঁচটি ট্রাকে ১৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয় এই বন্দরে। পরে হঠাৎ বন্ধ হয়েছে যায় পেঁয়াজ আমদানির আইপি। যার প্রভাব পড়তে থাকে খুচরা বাজারে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যায় হিলি সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত ১৭ আগস্ট ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় বাজারে কমতে থাকে দাম।
৭০ টাকার দেশি পেঁয়াজ কমে খুচরা বাজারে বিক্রি হয় ৬৫ টাকা কেজি দরে, পাইকারি বাজারে তা ৬৩ টাকা কেজি। আর ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছিল ৪৫ টাকা কেজি, আর খুচরা বাজারে তা বিক্রি হয়েছিল ৫০ টাকা কেজি হিসেবে।
বর্তমান পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ থাকায় আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম। খুচরা বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। আবার দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। হঠাৎ দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতারা।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা মোখলেসুর রহমান বলেন, “এক সপ্তাহ আগেও ৭০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছিলাম। গত দুইদিন আগে ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকা কিনলাম। আজ সেই ভারতের পেঁয়াজ আবার ৬০ টাকা কেজি হিসেবে কিনতে হচ্ছে। এভাবে বাজার উঠানামা করলে আমরা চলবো কি করে?”
জাকির হোসেন নামে একজন ক্রেতা বলেন, “শুনলাম ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আবার নাকি বন্ধও হয়ে গেছে। আমদানির কারণে দামও কমল। আমরা কেজিতে ১০ টাকা কমে পেয়েছি। আজ সেই পেঁয়াজ আবারও ১০ টাকা বেশি দামে কিনতে হলো। যদি এভাবে চলতে থাকে, তাহলে আগামীতে পেঁয়াজের দাম মনে হয় আরো বাড়বে।”
হিলি বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ বলেন, “কয়দিন থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করছি। প্রথমে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা কেজি পাইকারি কিনে তা খুচরা বিক্রি করেছিলাম ৫০ টাকা কেজি দরে। বর্তমানে সেই পেঁয়াজ ৫৫ টাকা পাইকারি কিনে তা খুচরা ৬০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি করছি। দেশি পেঁয়াজের দামও বেড়ে গেছে।”
হিলি বাজারে পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমান বলেন, “ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় বাজারে পেঁয়াজের দাম অনেকটা কমে গিয়েছিল। দেশি পেঁয়াজ ৬৩ টাকা কেজি পাইকারি এবং ভারতীয় ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা পাইকারি বিক্রি করেছি। আমদানির পর হঠাৎ আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আবার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।”
তিনি বলেন, “বর্তমান আমরা ভারতীয় পেঁয়াজ ৫৫ টাকা কেজি পাইকারি বিক্রি করছি। তবে যদি দুই-এক দিনের মধ্যে পেঁয়াজ আমদানি হয়, তাহলে বাজার ঠিক থাকবে, তা না হলে পেঁয়াজের দাম আরো বৃদ্ধি পাবে। সরকার যদি পেঁয়াজ আমদানির আইপি চালু করে, তাহলে বাজার স্বাভাবিক থাকবে।”