সারা বাংলা

তালায় যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় আটক ২

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম হোসেনকে (৩৩) গলা কেটে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই যুবককে আটক করেছেন পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন- মনিরামপুর উপজেলার কোন্দলপুর গ্রামের আবুবক্কার দফাদারের ছেলে ইজাজুল ইসলাম (৪৩) ও তালা উপজেলার বলরামপুর গ্রামের আহম্মদ আলী সরদারের ছেলে শরিফুল ইসলাম সরদার (৩৮)।

ডুমুরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদ রানা আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শামীমের মা রশিদা বেগম জানান, তার ছেলে এস এম শামীম হোসেন দুই বছর আগে আঠারোমাইল বাজারে মোটরসাইকেল মিস্ত্রির কাজ করতেন। তাদের তিনতলা বিশিষ্ট বাড়ির নিচতলা ভাড়া দেওয়া। সেখানে ভাড়াটিয়ারা থাকেন। দ্বিতীয় তলায় থাকতেন শামীম ও তার পরিবার। ভবনের তিনতলায় কেউ থাকতেন না। প্রায় ২৫ বছর আগে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার উথালি গ্রাম থেকে আঠারোমাইল এসেছেন তারা।

শামীমের মা রশিদা বেগম বলেন, “প্রতিরাতে বহিরাগত লোক আসতো তাদের বাসায়। শুনেছি ওরা মাদকের নেশা করত। ঘরে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে আনন্দ উল্লাস করত। সেখানে পরিবারের কাউকে যেতে দিত না। ঘটনার রাতে এজাজুল ও শরিফুল নামের দুই ব্যক্তি এসেছিল। প্রায়ই তারা আসতো। কেন আমার ছেলেকে হত্যা করেছে আমি কিছুই বলতে পারলাম না।”

শামীমের একমাত্র ছেলে তাজ (১২) পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। ঘটনার বিষয়ে সে জানায়, শামীম ও এজাজ বাবার সাথে তিনতলায় ছিলো। ওরা প্রায়ই আসতো। আমি বাবাকে নিষেধ করতাম, কিন্তু তিনি শুনতেন না।

শামিমের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার বৃষ্টি বলেন, “স্বামীকে নেশা করতে বহুবার বারণ করেছি। কিন্তু সে আমাদেরকে ধমক দিত। মা বলতেন (শ্বাশুড়ি) ওকে কিছু বলো না। মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটা থেকে এগারোটার মধ্যে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে।”

তালা উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুর রহমান সাইদ বলেন, “এটি পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। আমরা হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।”

ডুমুরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদ রানা জানান, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় শামীম হত্যার শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় শরিফুল ও আজিজুল নামের দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে শামীমের পরিবার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।