দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ব্যাকফুটে থাকা অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে যেন ঝড় তুলল। আজ রবিবার (২৪ আগস্ট) ম্যাকের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ অ্যারেনায় প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তারা তুলল বিশাল ৪৩১ রানের সংগ্রহ। যা তাদের ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর।
সবচেয়ে বড় অর্জন ছিল একেবারেই অনন্য। টপ অর্ডারের প্রথম তিন ব্যাটারই তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। ওয়ানডে ইতিহাসে প্রায় ৪ হাজার ৯০০ ম্যাচে মাত্র দ্বিতীয়বার এমন দৃশ্য দেখা গেল। এর আগে ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম এই কীর্তি গড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা (আমলা–রুসো–ডি ভিলিয়ার্স)।
তিন সেঞ্চুরিতে ইতিহাস: অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওপেনার ট্রাভিস হেড ও মিচেল মার্শ শুরু থেকেই প্রোটিয়া বোলারদের ওপর ঝড় বইয়ে দেন। এরপর নামেন ক্যামেরন গ্রিন। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করলেন মাত্র ৪৭ বলে। যা অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম শতক। তার আগে একমাত্র দ্রুততর সেঞ্চুরি করেছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ২০২৩ বিশ্বকাপে মাত্র ৪০ বলে।
অস্ট্রেলিয়ার দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরিয়ানরা: ৪০ বলে – গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস (দিল্লি, ২০২৩)। ৪৭ বলে – ক্যামেরন গ্রিন, প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা (ম্যাকে, ২০২৫*)। ৫১ বলে – গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা (সিডনি, ২০১৫)। ৫৭ বলে – জেমস ফকনার, প্রতিপক্ষ ভারত (বেঙ্গালুরু, ২০১৩)।
সেঞ্চুরির বন্যা: ট্রাভিস হেড ১০৩ বলে ১৭টি চার ও ৫ ছক্কায় খেলেন ১৪২ রানের েইনিংস। যা তার ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি। এরপর মিচেল মার্শ ১০৬ বলে ৬টি চার ও ৫ ছক্কায় ১০০ রান করে আউট হন। যা ছিল তার ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। আর ক্যামেরন গ্রিন ক্যারিয়ারের প্রথম শতক হাঁকান মাত্র ৪৭ বলে। শেষ পর্যন্ত তিনি ৫৫ বলে ৬টি চার ও ৮ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ১১৮ রানে। এর পাশাপাশি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স ক্যারিও ৩৭ বলে ঝড়ো ৫০ রানের ইনিংস খেলেন।
অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ (ওয়ানডে): ৪৩৪/৪ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, জোহানেসবার্গ, ২০০৬ ৪৩১/২ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, ম্যাকে, ২০২৫। ৪১৭/৬ বনাম আফগানিস্তান, পার্থ, ২০১৫।
অস্ট্রেলিয়া শেষ পর্যন্ত মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে দাঁড় করায় ৪৩১ রানের পাহাড়। আর এর মধ্য দিয়েই ছুঁয়ে ফেলল বিরল সেই রেকর্ড, একই ইনিংসে টপ অর্ডারের প্রথম তিন ব্যাটারের সেঞ্চুরি।