খেলাধুলা

২৭৬ রানে অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাস গড়া জয়

অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং ঝড়ের সামনে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণ ভেসে গেলো পানির স্রোতে। রবিবার (২৪ আগস্ট) সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ট্রাভিস হেড, অধিনায়ক মিচেল মার্শ এবং ক্যামেরন গ্রিনের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির উপর ভর করে ৪৩১ রানের পাহাড় গড়েছিল অজিরা। জবাবে ২৫ ওভারও টিকতে পারেনি প্রোটিয়ারা। গুটিয়ে গেছে মাত্র ১৫৫ রানে। ফলে ২৭৬ রানের রেকর্ড জয়ে সিরিজ শেষ করলো অস্ট্রেলিয়া।

প্রথম ম্যাচে খেলার সুযোগ পাওয়া অলরাউন্ডার কুপার কনোলি একেবারে বাজিমাত করেছেন। বাঁহাতি স্পিনে মাত্র ২২ রানে ৫ উইকেট শিকার করে প্রোটিয়াদের ব্যাটিং লাইনআপকে একাই ধসিয়ে দেন তিনি। তার আগেই পেসার শন অ্যাবট নতুন বলে দুই গুরুত্বপূর্ণ উইকেট এডেন মার্করাম (২) ও অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে (১৯) ফেরান। এরপর বাকিটা ইতিহাস।

ব্যাট হাতে ট্রাভিস হেড খেলেছেন ১৪২ রানের বিস্ফোরক ইনিংস, ১৭ চার ও ৫ ছক্কায় সাজানো। মার্শ করেছেন ঝলমলে সেঞ্চুরি (১০০), আর গ্রিন খেলেছেন ক্যারিয়ারের প্রথম শতরানের ইনিংস (অপরাজিত ১১৮)। শেষ দিকে অ্যালেক্স ক্যারিও ঝড় তোলেন, মাত্র ৩৭ বলে করেন অপরাজিত ৫০ রান। গ্রিন ও ক্যারির জুটিতে শেষ ১০ ওভারে এসেছে রীতিমতো আগুন ঝরানো ১২৬ রান।

অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস থেমেছে ২ উইকেটে ৪৩১ এ। যা তাদের ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগে ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই ৪৩৪ রানের বিশ্বরেকর্ড গড়েছিল তারা।

অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং ছিল দিশাহারা। লুঙ্গি এনগিদিকে বিশ্রাম দেওয়া হয়, রাবাদা আগেই চোটের কারণে ছিটকে যান। ফলে অনভিজ্ঞ বোলারদের ভরসায় নামতে হয় প্রোটিয়াদের। কুয়েনা মাফাখা মাত্র ৬ ওভারে খরচ করেন ৭৩ রান। উইয়ান মুল্ডার দেন ৯৩ রান ৭ ওভারে। আর মুথুসামি ৯ ওভারে ৭৫।

ব্যাট হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার একমাত্র প্রতিরোধ ছিল যুবা তারকা ডিউয়াল্ড ব্রেভিসের ৪৯ রান। বাকিদের ব্যর্থতায় দল গুটিয়ে যায় ২৪.৫ ওভারে।