২২ বছর আগে বিয়ে করেছেন আরজিনা ও এমারত। তাদের সন্তানের বয়স এখন ২১ বছর। জাতীয় পরিচয় পত্র হলেও সন্তানকে মেনে নিচ্ছে না পিতা। জাতীয় পরিচয়পত্র করার কারণে দিচ্ছেন হুমকি। এখন ঘরবন্দি ও জীবননাশের হুমকিতে কাটছে মা-সন্তানের জীবন।
অভিযুক্ত স্বামী মো. এমারত হোসেন (৪০) গাজীপুর মহানগরীর ভারারুল জামতলা এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে।
জামতলা এলাকার আব্দুল কাদেরের মেয়ে আরজিনার সঙ্গে সম্পর্ক হয় একই এলাকার এমারতের সাথে। এরপর ২০০৩ সালে হুজুর ডেকে বিয়ে করেন দু’জন। পরে তাদের ঘরে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। এরপর থেকেই তাদের সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। একপর্যায়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে এমারত আরেকটি বিয়ে করেন। তারপর থেকে সন্তান এমরানকে নিয়ে বসবাস করছেন আরজিনা। ছেলের বয়স ১৮ বছর হলে জাতীয় পরিচয়পত্র বানানো হয়। এরপর থেকে শুরু হয় নানা ধরনের হুমকি।
অভিযুক্ত স্ত্রী আরজিনা আক্তার বলেন, “আমার ভরণপোষণ দেন না। তবে গোপনে সম্পর্ক রেখেছে। শুধুমাত্র আমাদের ঈদের সময় খরচ দিতো। এখন আমার সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছে। ওর পরিচয় দরকার, পরে স্বামীর সঙ্গে কথা বলে ভোটার আইডি কার্ড করি। এখন ভোটার আইডি করার কারণে আমাদের হুমকি দিচ্ছে। আমাকে এবং আমার সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমরা জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তায় আছি।”
আরজিনার সন্তান এমরান বলেন, “আমার পিতা এমারত। তবে তিনি আমাকে অস্বীকার করেন। এখন আমার নামে বিভিন্ন মামলা দিচ্ছে। আমার মাকে নিয়ে অনিরাপদ জীবনযাপন করছি। আমাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়।”
এবিষয়ে জানতে চাইলে এমারত হোসেন বলেন, “আমার সঙ্গে তার কোন বিয়ের সম্পর্ক নেই। আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। একজন চাইলেই স্বামী ও পিতার পরিচয় দেওয়া যায় নাকি? তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন।”