সারা বাংলা

আলী আমজদের ঘড়িঘরের পাশে বন্ধ হলো ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’ নির্মাণ কাজ

সমালোচনার মুখে সিলেটের কিন ব্রিজ এলাকায় ১৫১ বছরের ঐতিহ্যবাহী আলী আমজদের ঘড়িঘরের জায়গায় ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে সিটি করপোরেশন। নির্মিতব্য স্থাপনাটি ছালা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। ছালার ওপরে কগজে লেখা রয়েছে- ‘আপাতত নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে’।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাই রাফিন সরকার বলেন, “যেহেতু এটি (স্মৃতিস্তম্ভ) নির্মাণ নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে, তাই কাজ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। পরে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” 

তিনি বলেন, “স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ নিয়ে একটি কমিটি আছে। তারা সরেজমিনে পরির্দশন করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। প্রয়োজনে স্থানীয়দেরও মতামত নেবে।”

আলী আমজদের ঘড়িঘরের জায়গায় জুলাই শহীদদের স্মরণে স্মৃতিফলক নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে সিলেট সিটি করপোরেশন। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা সমালোচনা শুরু করেন। স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের মাধ্যমে ঘড়িঘরের সৌন্দর্য নষ্ট করার অভিযোগ ওঠে।

আলী আমজদের ঘড়িঘর: সিলেট নগরের সুরমা নদীর পাড় আর সারদা হলের মাঝখানে শহরের জিরো পয়েন্ট। তার ঠিক ১০০ মিটারের মধ্যেই আলী আমজদের ঘড়ির অবস্থান। কিন ব্রিজ পার হয়ে শহরের উত্তর অংশের ঠিক প্রবেশমুখে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে এটি ১৮৭৪ সাল থেকে।

ওই বছর তৎকালীন বড়লাট লর্ড নর্থব্রুক সিলেটে সফরে এসেছিলেন। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার পৃত্থিমপাশার জমিদার নবাব আলী আহমদ খান ঘড়িটি নির্মাণ করেন। নামকরণ করেন নিজের ছেলে আলী আমজদ খানের নামে। এই ঘড়ির ডায়ামিটার আড়াই ফুট এবং ঘড়ির কাঁটা দুই ফুট লম্বা।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন হানাদার বাহিনীর গোলার আঘাতে এই প্রাচীন ঘড়িঘর বিধ্বস্ত হয়। স্বাধীনতার পর সিলেট পৌরসভা ঘড়িটি মেরামতের মাধ্যমে সচল করলেও কিছুদিনের মধ্যেই ঘড়ির কাঁটা বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দে আলী আমজদের ঘড়ি মেরামত করে পুনরায় চালু করা হয়। (তথ্য: ইউকিপিডিয়া)।