সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে পাথর লুটের ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।
সাদাপাথর লুটের ব্যাপারে প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর এবং বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকালে সিআইডি প্রধান কার্যালয় থেকে জানানো হয়, বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যে লুটপাটের ঘটনায় প্রায় ৫০ জন ব্যক্তির প্রাথমিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর সিআইডি অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পরিবেশগত অপরাধ সংঘটন করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার অভিপ্রায়ে সাদা পাথর লুটপাটের ঘটনায় যে ব্যক্তিরা এবং সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাদা পাথর লুটপাটের ঘটনায় নড়েচড়ে বসে সরকার। সিলেট জেলা প্রশাসন নামে তদন্তে। তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে ১০টি সুপারিশের পাশাপাশি কিছু পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয় ২০ আগস্ট। একই সঙ্গে লুটের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের নাম প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
সিলেটের কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুরে আছে আটটি পাথর কোয়ারি। এর বাইরে সিলেটে সাদাপাথর, জাফলং, বিছনাকান্দি, উৎমাছড়াসহ আরো ১০টি জায়গায় পাথর আছে।
সীমান্তের ওপারে ভারতের পাহাড়ি নদী থেকে এসব পাথর আসে। ২০২০ সালের আগে সংরক্ষিত এলাকা বাদে সিলেটের আটটি কোয়ারি ইজারা দিয়ে পাথর উত্তোলনের সুযোগ দেওয়া হতো। তবে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতির কারণে ২০২০ সালের পর আর পাথর কোয়ারি ইজারা দেওয়া হয়নি। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিবেশে সাদা পাথর লুটপাট বেড়ে যায়, সম্প্রতি যা একেবারে নিঃশেষ করে ফেলা হয়। তবে বর্তমানে কঠোরতা নিয়ে পাথর চুরি রোধ করা হচ্ছে।