আন্তর্জাতিক

জম্মু-কাশ্মীরে ভারি বৃষ্টিতে ভূমিধস, নিহত অন্তত ৩০

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট ভূমিধসে আজ বুধবার অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় প্রশাসন নিশ্চিত করেছে। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বুধবার (২৭ আগস্ট) কাটরায় বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরে যাওয়ার পথে ভূমিধসে অন্তত ৩০ জন নিহত এবং আরো অনেকে আহত হয়েছেন। 

জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার পরমবীর সিং হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, হতাহতদের উদ্ধারের পাশাপাশি গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ কার্যক্রম চলছে।

সিং বলেন, “নিরাপত্তা বাহিনী, দুর্যোগ ত্রাণ দল ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা ধ্বংসস্তূপ সরানো ও জীবিতদের সন্ধানে কাজ করছে।”

টানা কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে এই অঞ্চলে জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। আকস্মিক বন্যায় বিশাল এলাকা প্লাবিত হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ অনেক সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ভেঙে পড়েছে। স্কুল, কর্মক্ষেত্র ও অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

সোমবার রাত থেকে জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভারী বৃষ্টিপাত চলছে। এই অঞ্চলের প্রায় সবগুলো নদীই বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। নিচু এলাকা থেকে বহু মানুষকে উদ্ধার করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। নদী ও ভূমিধসপ্রবণ এলাকা এড়িয়ে চলতে বলেছে কর্তৃপক্ষ।

জম্মু অঞ্চলে অবিরাম ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বিপর্যয় দেখা দেওয়ায় বুধবার ভারতীয় রেলওয়ে কাটরা, উধমপুর ও জম্মু রেলওয়ে স্টেশনে ১৮টি ট্রেন চলাচল বাতিল করেছে।

টেলিকম পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর মতে, ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে পুনরুদ্ধারের কাজ ব্যাহত হচ্ছে, তাই এই অঞ্চলে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা এখনও বন্ধ রয়েছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, বন্যার কারণে একাধিক জায়গায় অপটিক্যাল ফাইবার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরে এই অঞ্চলের সমস্ত পরিষেবা প্রদানকারীর নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

গতকাল মঙ্গলবার, জম্মু প্রদেশের ডোডা জেলায় মেঘ ভাঙনে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া এবং কিশতোয়ার জেলায় মেঘ ভাঙনে কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হওয়ার কয়েকদিন পর এই অঞ্চলে আজ বুধবার ৩০ জন নিহত হওয়ার সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটেছে। বৈষ্ণদেবীর মন্দিরের কাছে ভূমিধসের ঘটনায় ২৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন।