সারা বাংলা

যুবদল নেতাকে থাপ্পড়ের অভিযোগে এসআই প্রত্যাহার

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে যুবদল নেতা আমিনুল ইসলামকে থাপ্পড় মারার অভিযোগে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাসেলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন: যুবদল নেতাকে থাপ্পড়ের অভিযোগে এসআই প্রত্যাহার

তিনি বলেন, ‍“ঘটনাটি দুঃখজনক। গতকাল মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাতেই অভিযুক্ত এসআই রাসেলকে প্রত্যাহার করে টাঙ্গাইল পুলিশ লাইন্সে আনা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।”

এলাকাবাসী জানান, উপজেলার আলমনগর ইউনিয়নের নবগ্রাম উত্তর চরপাড়ার মৃত মান্নানের দুই ছেলে মিঠু আকন্দ ও মিজু আকন্দের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গত সোমবার সালিশ বৈঠক বসে। সালিশে মিঠু আকন্দ উপস্থিত ছিলেন না।

তিনি গতকাল মঙ্গলবার বাড়িতে পুলিশ নিয়ে হাজির হন। ক্ষুব্দ স্থানীয় লোকজন এসময় পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে ফোন করে ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলামকে থানায় ডেকে নেয় পুলিশ। 

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত ভিপির উপস্থিতিতে থানার অফিসার ইনচার্জের (ওসি) রুমে বৈঠক হয়। সেখানে এসআই রাসেল ও আমিনুলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে আমিনুল ও এসআই রাসেলকে রুম থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়।

যুবদল নেতা আমিনুল বলেন, “রুম থেকে বেরিয়ে আসার পর আরেকটি রুমে নিয়ে এসআই রাসেল আমাকে থাপ্পড় মারেন। আমি কানে শুনতে পাচ্ছি না। সিনিয়র নেতারা অনুমতি দিলে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করব।”

এর আগে অভিযুক্ত এসআই রাসেল বলেছিলেন, “জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে আমিনুল অভিযোগকারীদের পুলিশের সামনে মারধর করেন। পরে তাকে থানায় নেওয়া হয়। ওসির নির্দেশে তাকে থানা হাজতে রাখা হয়েছিল কিছু সময়ের জন্য। সেখানে তাকে মারধর করা হয়নি।”

গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন বলেন, “যুবদল নেতা আমিনুল পুলিশের কাজে বাঁধা দিয়েছিলেন। তাকে থানায় ডেকে আনা হয়েছিল। পরে দায়িত্বর এসআইয়ের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। নেতাদের ডেকে বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছি।”