ক্যাম্পাস

সিন্ডিকেটে জকসু সংবিধি গৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (জকসু) সংবিধির প্রস্তাব বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত হয়েছে। এতে ভোটার বা প্রার্থী হতে শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়নি।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেল ৫টা থেকে প্রায় রাত ৯টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভা শেষে রাতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম সাংবাদিকদের জানান, গৃহীত প্রস্তাবিত সংবিধি বৃহস্পতিবার বা রোববারের মধ্যে চূড়ান্ত করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি হলে জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে।

তিনি বলেন, “পূর্ণকালীন চাকরিজীবীরা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন না। তবে খণ্ডকালীন চাকরিজীবীরা ভোটার হিসেবে থাকতে পারবেন।”

খসড়া সংবিধি অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পাবেন। তবে প্রফেশনাল কোর্সে অধ্যয়নরত, বিশেষ ডিগ্রিধারী কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে সংযুক্ত শিক্ষার্থীরা জকসুর আওতাভুক্ত হবেন না।

সংবিধিতে বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন ও জাতীয় গণআন্দোলনের চেতনা ধারণ ও প্রচার করা হবে ছাত্র সংসদের অন্যতম উদ্দেশ্য। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা, নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশ এবং মুক্তচিন্তার চর্চাকেও অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

জকসুর কাঠামোতে থাকবে ২১ সদস্যের নির্বাহী কমিটি। এর সভাপতি হবেন উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ হবেন পদাধিকারবলে জবি কোষাধ্যক্ষ। বাকি ১৯টি পদে সরাসরি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একইসঙ্গে প্রতিটি আবাসিক হলে গঠিত হবে হল সংসদ। সেখানে প্রাধ্যক্ষ হবেন সভাপতি এবং ১৭ সদস্যের নির্বাহী কমিটি কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

একজন সিন্ডিকেট সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “শিক্ষার্থীদের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই সংবিধির প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। দ্রুত আইন পাস হলে জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করা হবে। শিগগিরই জকসু হবে।”