ক্যাম্পাস

৩ দাবিতে ববি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ তিন দফা দাবিতে চতুর্থ দিনের মত মহাসড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেল ৫টা থেকে ববির মূল গেট সংলগ্ন বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক করে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে তীব্র যানজট দেখা দেয়।

এর আগে, গত রোববার শিক্ষার্থীরা একই মহাসড়ক পৌঁনে ১ ঘণ্টা অবরোধ শেষে সংবাদ সম্মেলন করে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে যোগাযোগ করার আহ্বান জানান।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, আমরা অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু ইউজিসির কোন প্রতিনিধি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেনি। তাই বাধ্য হয়ে রাজপথে মেনেছি।

শিক্ষার্থী আবদুর রহমান বলেন, “১৪ বছরেও বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ-সংকট কাটেনি। বর্তমানে সাতটি অনুষদে ২৫টি বিভাগের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য অন্তত ৭৫টি কক্ষ প্রয়োজন। কিন্তু আছে মাত্র ৩৬টি। কক্ষ-সংকটের কারণে অনেক সময় খোলা মাঠে পাঠদান করাতে হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষক-সংকটের কারণে অধিকাংশ বিভাগে সেশনজট বাড়ছে। আবাসন, শিক্ষক, পরিবহন ও গ্রন্থাগারে বইয়ের সংকটও প্রকট। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফিটনেসবিহীন গাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন শিক্ষার্থীরা।”

এদিন অবরোধের কারণে সৃষ্ট যানজটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন মহাসড়কে নিয়মিত চলাচলকারীরা।

বরগুনার যাত্রী আবদুল্লাহ জানান, বরগুনার উদ্দেশ্যে বরিশাল থেকে বাসে উঠেছে তিনি। যানজটের কারণে আটকা পড়েন। ১ ঘণ্টা চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন বলে জানান তিনি।

ববির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর রাহাত হোসেন ফয়সাল বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে আমরা একমত। তবে প্রতিটা কাজের একটা প্রক্রিয়া আছে। আমাদের নতুন ভবন তৈরির জন্য ৩ কোটি ৯ লাখ টাকার ফিজিবিলিটি স্টাডির কাজ খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু হবে। অন্যদিকে জমি অধিকরণের জন্য আমাদের সঙ্গে বরিশাল জেলা প্রশাসকের কথা হয়েছে। তিনি খুবই পজেটিভ এই ব্যাপারে। পরিবহন সমস্যার সমাধানের জন্য নতুন অর্থবছরের পরিবহন কেনা হবে।”

বরিশাল বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করেছে। আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।”