জাতীয়

সরকারের সঙ্গে বৈঠকের পর শাহবাগ ছাড়লেন প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা, নতুন সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার

অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর শাহবাগ ছেড়েছেন আন্দোলনরত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সড়ক অবরোধ তুলে নেন তারা। তাদের এই কর্মসূচি ঘিরে সারা দিন শাহবাগ ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়; ভোগান্তির শিকার হন পথচলতি মানুষ।

প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের সভাপতি ওয়ালী উল্লাহ পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের সেমিনার হলে সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে রেলভবনে দুই উপদেষ্টার সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের এ বৈঠক শুরু হয়। এতে জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এবং পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান উপস্থিত ছিলেন। তবে, বৈঠকে কোনো সমাধান হয়নি।

এর আগে, মঙ্গলবার তিন দফা দাবিতে রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণে সুনির্দিষ্ট আশ্বাস না পাওয়ায় বুধবার সারাদেশের প্রকৌশলীদের নিয়ে ‘লং মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি পালন করেন তারা। এতে শাহবাগসহ ওই এলাকায় ব্যাপক যানযট সৃষ্টি হয়; ভোগান্তিতে পড়েন পথচারী ও চলাচলকারী মানুষ।

বুধবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যেতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে বুয়েট। বুয়েটের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্বে) এন এম গোলাম জাকারিয়ার সই করা বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। পরে সেটি গণমাধ্যমকে জানানো হয়।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-

১. সরকারি চাকরিতে নবম গ্রেডে ৩৩ শতাংশ কোটা রয়েছে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য। সেই কোটা বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে।

২. দশম গ্রেডে ১০০ শতাংশ কোটা রয়েছে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য। এটি বাতিল করে সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।

৩. বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া ইঞ্জিনিয়ার পদবি ব্যবহার করা যাবে না। যদি এই পদবি ব্যবহার করে, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।