ক্যাম্পাস

কুবিতে এমসিজে উৎসব

নানা আয়োজন, প্রতিযোগিতা আর শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হলো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের (এমসিজে) সপ্তাহব্যাপী এমসিজে উৎসব।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টায় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার মধ্য দিয়ে এ উৎসবের সমাপ্তি হয়। একই সঙ্গে বিভাগের ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বিদায় জানানো হয়।

এর আগে গত ২৪ আগস্ট এক র‍্যালি ও ফ্ল্যাশ মবের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় এমসিজে উৎসবের। উৎসবের অংশ হিসেবে ইনডোর ও আউটডোর খেলাধুলা, উপস্থিত বক্তৃতা, কবিতা আবৃত্তি, আধুনিক ও ধ্রুপদী সংগীতসহ নানা শিক্ষামূলক কর্মসূচি হয়।

সপ্তাহব্যাপী আয়োজনের অংশ হিসেবে দুটি সেমিনারেরও আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে একটি ‘উচ্চশিক্ষায় সুযোগ ও সম্ভাবনা’ বিষয়ক সেমিনার, যার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক, এশিয়া (ENFP-এর জন্য কেন্দ্রীয় সহায়তা প্রদানকারী) ড. মো. আশিকুর রহমান। অন্যটি ‘স্বাধীন ও পরাধীন চলচ্চিত্রের স্বরূপ’ বিষয়ে বক্তৃতা রাখেন চলচ্চিত্র শিক্ষক ও সমালোচক বিধান রিবেরু।

এছাড়া সপ্তাহব্যাপী চলমান বিভিন্ন ইভেন্টে ছেলেদের ফুটবলে বিভাগের ৫ম আবর্তন, ক্রিকেটে ৮ম আবর্তন, দড়ি টানে দশম আবর্তন চ্যাম্পিয়ন হয়। ইনডোর খেলার মধ্যে দাবায় তুষার, ক্যারমে রিয়াদ-মামুন, লুডুতে ফারিয়া-রিমু এবং উনোতে নিশা জয়ী হয়।

এছাড়া কবিতা আবৃত্তিতে প্রথম হয় আমিনা কবির শ্রেষ্ঠা, আধুনিক গানে আসাদুল ইসলাম রুমন, ধ্রুপদী গানে সায়েমা হক এবং উপস্থিত বক্তৃতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন আশা।

আজকের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এ সময় বিভাগটির বিভাগীয় প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসানেন সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী এবং বিভাগটির অন্যান্য শিক্ষকরা।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “ধন্যবাদ গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগকে এমসিজে সপ্তাহ সুন্দরভাবে পালন করার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের এত বছরেও আমাদের একটা অডিটরিয়াম নেই, এমনকি টিনশেডও নেই, যেখানে প্রতিকূলতার মধ্যেও এরকম একটা প্রোগ্রাম সম্পন্ন করা যায়।”

অনুষ্ঠানের সভাপতি বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান বলেন, “অনেক কষ্ট করে কমিউনিকেশন ক্লাব এই উইকের আয়োজন করেছে। এই সুন্দর ডেকোরেশন নিজ হাতে করেছে। সবকিছু জন্য কমিউনিকেশন ক্লাবকে ধন্যবাদ।”

বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, “এটা বিদায় অনুষ্ঠান না, আমরা সবসময় এটাকে অগ্রহায়ণ বলি। এটার অর্থ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পদায়ন করা। অনেকে ক্যারিয়ার গড়ছে, অনেকে বিদেশে চলে যাচ্ছে। তোমরা যারা চলে যাচ্ছ তারা বিভাগের অনেক চড়াই-উৎরাই দেখেছ। আমাদের ক্লাসরুম ছিল না, গাছতলায় ক্লাস নিয়েছি। এরপর আমরা ক্লাসরুম পেলাম। অনেক স্মৃতি তোমাদের সাথে আমার।”

পুরস্কার বিতরণ শেষে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। গান, আবৃত্তি, নৃত্য ও নাটকের আনন্দমুখর পরিবেশনার মধ্যে দিয়ে এমসিজে উৎসবের পর্দা নামে।