গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বিক্ষোভ হয়েছে। এতে উপজেলা গণঅধিকার পরিষদ ও সহযোগী সংগঠনের ১২ জন নেতাকর্মী অংশ নেন।
শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে দলটির টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, টুঙ্গিপাড়া গণঅধিকার পরিষদের চৌড়ঙ্গি কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন নেতাকর্মীরা। সেটি টুঙ্গিপাড়া-পিরোজপুর সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌর বাস টার্মিনালের সামনে গিয়ে শেষ হয়। তারা ৫ মিনিটের জন্য গোপালগঞ্জ-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন। নেতাকর্মীরা ‘ভিপি নূরের ওপর হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
বিক্ষোভ মিছিলে গণঅধিকার পরিষদ টুঙ্গিপাড়া উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি শাহিদ আলম, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রইসুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী সরদার, সাধারণ সম্পাদক মহসিন শেখ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী খান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রেজা, প্রচার সম্পাদক আলফাজ শেখ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রাহমাতুল্লাহ, গণঅধিকার পরিষদ পাটগাতী ইউনিয়ন শাখার সহ-সভাপতি সোহেল, গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ওবায়ের তারিফ, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা যুব অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি আজম খান ও উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আলফাজ ফকিরসহ ১২ জন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলা দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমিয়ে রাখার ষড়যন্ত্রের অংশ। অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
বিক্ষোভ মিছিলে মাত্র ১২জন নেতাকর্মীর অংশগ্রহণের বিষয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মহসিন শেখ বলেন, “টুঙ্গিপাড়ায় আমাদের ৫১ সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা কমিটি, তিনটি ইউনিয়ন কমিটিসহ যুব অধিকার, ছাত্র অধিকার ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের কমিটি রয়েছে। কিন্তু সাবেক সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতির মধ্যে দলীয় কোন্দল থাকায় স্বল্প সংখ্যক নেতাকর্মী বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়েছেন। আমরা দলীয় সংকট নিরসনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
গোপালগঞ্জ জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মো. আল আমিন সরদার বলেন, “সাবেক সভাপতি শাহিদ আলমের হাত ধরে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রইসুল ইসলাম গণঅধিকার পরিষদের রাজনীতিতে আসেন। সাবেক সভাপতি শাহিদ আলমের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ ওঠায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে রইসুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে কর্মীরা বিভক্ত হয়ে কর্মসূচি পালন করছেন। দলীয় এ সমস্যা দ্রুত সমাধান করা হবে।”
টুঙ্গিপাড়া গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা জানান, ২০২৪ সালের ২২ আগস্ট টুঙ্গিপাড়া উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের ৫১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেন গোপালগঞ্জ জেলা গণধিকার পরিষদের সভাপতি আল আমিন সরদার ও সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম। এ বছরের ৫ আগস্ট দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে সভাপতি শাহিদ আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় সহ-সভাপতি রইসুল ইসলামকে। তারপর থেকেই প্রকাশ্যে কোনো বিরোধ না হলেও দলীয় কোন্দল দেখা দেয়।