গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, “আমরা তো সেনাবাহিনীর পক্ষে সবসময় বক্তব্য দিয়েছি যে, এই প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করা যাবে না। তবে, নুরুল হক নুরের ওপর হামলার পরে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এটা পুনরুদ্ধারের জন্য হলেও দোষীদের বিচার করা দরকার।”
বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ প্রতিষ্ঠার ৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে রবিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বিপ্লবীরা কতটা নিরাপদ’ শীর্ষক আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিলে তিনি একথা বলেন।
রাশেদ খান বলেন, “পুলিশের মধ্যে যারা এই হামলায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান নেতার ওপর হামলা, কার্যালয়ে ঢুকে নেতাকর্মীদের আহত করা ছোট কোনো ঘটনা নয়। এই ঘটনার সমাধান ও প্রতিকার না হলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আরো ঘটতে পারে।”
গণঅধিকার পরিষদ সবসময় আইনের শাসনে বিশ্বাস করে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা আমাদের রাজনৈতিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় পার্টিসহ ফ্যাসিবাদের দোসরদের নিষিদ্ধের দাবি করেছি। আমরা মনে করি, ফ্যাসিবাদ ও তার দোসরদের এই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ নেই। সুতরাং, ইনক্লুসিভ নির্বাচনের নামে আওয়ামী লীগ ও তার দোসর জাতীয় পার্টির মাধ্যমে নির্বাচন করার সুযোগ নেই। যদি তারা ন্যূনতম সুযোগ পায়, তবে আবারো ফ্যাসিবাদ ফিরিয়ে আনবে।”
“আরেকটা বিষয় স্পষ্ট করি, আমরা নির্বাচনের বিরুদ্ধে না, নির্বাচন বানচালও আমরা করতে দেব না। আমরা চাই, ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংস্কার ও বিচারের সঠিক গতিপথ তৈরির মাধ্যমে এই দেশে নির্বাচন হবে। এই সরকারের ভুল থাকতে পারে, কিন্তু সরকারকে আমরা ব্যর্থ হতে দিতে পারি না,” যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মনজুর মোরশেদ মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ, জাতীয় যুব শক্তির সদস্য সচিব ডা. জাহিদুল ইসলাম, এবি যুব পার্টির আহ্বায়ক শাহাদাতাতুল্লাহ টুটুল, জাতীয় যুব পরিষদের সভাপতি সামসুল আলম নিক্সন, জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি হারুন অর রশিদ, নাগরিক যুব ঐক্য এর সভাপতি মাহফুজ খান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি নেওয়াজ খান বাপ্পি, বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি জাফর মাহমুদ, গণসংস্কৃতি পরিষদের সদস্য সচিব রোমনা।